মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য ২০১৩ সালে ১৮ জন ও বর্তমানে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আন্দোলনের নামে সহিংসতা ও পুলিশ হত্যা করে পুলিশের মনোবল ভাঙা যাবে না। বরং পুলিশ আরও বেশি শক্তিশালী হবে। অশুভ শক্তির কাছে পুলিশ কখনও মাথা নত করেনি এবং করবেও না। আজ দুপুরে লক্ষ্মীপুরের মোহাম্মদীয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমানের সভাপতিত্বে তিনি আরও বলেন, মানবতাবিরোধী কোনো কাজ এ দেশে বরদাশত করা হবে না। ধর্মের নামে অধর্ম, মুসলমানদের ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র চলছে, সেটা কখনও হতে দেওয়া হবে না। জনগণকে সাথে নিয়ে সেটা নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন পুলিশ প্রধান।
এর আগে রবিবার সকালে লক্ষ্মীপুর শহরের পুলিশ লাইন্স স্কুল ও রামগঞ্জ শহরে পুলিশ বক্সের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। এ ছাড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জেলা পুলিশ কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে পৃথক পৃথকভাবে কথা বলেন।
এর আগের দিন শনিবার বিকেলে পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমানের সভাপতিত্বে লক্ষ্মীপুর জেলা স্টেডিয়াম মাঠে জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশ ও রাতে পুলিশ লাইন্স মাঠে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় যোগ দেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। এ ছাড়া সম্প্রতি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত চন্দ্রগঞ্জ থানা সন্ত্রাস নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক ওমর ফারুকের মা ও স্ত্রীর হাতে জেলা পুলিশ সুপার ও আইজিপির পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকার চেক তুলে দেন তিনি।