কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে গণধর্ষণের পর হত্যা মামলায় চালক-হেলপারসহ ৫ জনকে ৮ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৮ মে) বিকেলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন আসামিদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।
এর আগে কড়া নিরাপত্তায় স্বর্ণলতা বাসের চালক এজারভুক্ত আসামি নুরুজ্জামান, হেলপার লালন, রফিক, খোকন ও বকুলকে আদালতে হাজির করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
এদিকে ময়নাতদন্তের পর রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার সুস্পষ্ট আলামত পাওয়া গেছে। কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে, ধস্তাধস্তির কারণেই এই জখম হয়েছে। তাছাড়া নিহতের যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণের আলামত ও আঠালো পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায়, ভিকটিমকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে।
ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে নার্স তানিয়ার বাবা মো. গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাজিতপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বাজিতপুর থানা পুলিশ (ওসি-তদন্ত) সারোয়ার জাহান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় স্বর্ণলতা বাসের চালক নূরুজ্জামান, হেলপার লালন মিয়াসহ ৪ জনকে এজহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে কর্মরত নার্স তানিয়া গত সোমবার বিকেলে নিজ বাড়িতে আসার জন্য ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে উঠে রওনা হন। বাসটি কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের বিলপাড় গজারিয়া জামতলী নামক স্থানে পৌঁছার পর বাসের চালক ও সহকারীসহ অন্যরা ধর্ষণ করে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেন। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে ওই এলাকা থেকে তানিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধারের পর রাত পৌনে ১১টার দিকে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন : কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্সকে গণধর্ষণের পর হত্যা