শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা রোজা রাখছেন। বাদ যাচ্ছেন না খেলোয়াড়রাও। গতকাল বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল টটেনহ্যাম হটস্পার এবং আয়াক্স। এই ম্যাচে রোজা রেখেই মাঠে নেমেছিলেন আয়াক্সের হাকিম জিয়েখ ও নওসাইর মাজরাউয়ি। ইফতারের পর গোলও করেছেন হাকিম জিয়েখ। যদিও আয়াক্স শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি। ৩-২ গোলে হেরে দলটিকে বিদায় নিতে হয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল থেকে।
আমস্টারডামে স্থানীয় সময় ইফতারের আধঘণ্টা আগে শুরু হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচটি। ফুটবল এমনিতেই খুব পরিশ্রমের খেলা। তার ওপর রোজা রেখে মাঠে নামা সোজা কথা নয়। তারপরেও হাকিম জিয়েখ ও নওসাইর মাজরাউয়ি রোজা রেখে মাঠে নামেন এবং যথাসময়ে মাঠে থেকেই ইফতার সারেন। কিক অফ শুরুর প্রায় ১৮ থেকে ২০ মিনিট পর ইফতারের সময় ছিল আমস্টারডামে। তখন দুজন ডাগ আউটে গিয়ে ‘এনার্জি জেল’ গ্রহণ করেন; যা খেলোয়াড়দের দ্রুত শক্তি দেয়। ইফতারের ১০ মিনিট পরই গোল করেন জিয়েখ। এর আগে লিভারপুলের মিশরীয় সুপারস্টার মোহাম্মদ সালাহ ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় রোজা কাজা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
এদিকে জিয়েখ আর মাজরাউয়ির রোজা রেখে মাঠে নামা ভালো চোখে দেখছেন না আয়াক্সের কোচ রেমন্ড ভেরিয়েন। পুষ্টিবিদ এই কোচ বলেন, ‘মৌসুমের এ পর্যায়ে জিয়েখ ও মাজরাউয়ি রোজা পালন করলে সেটি হবে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ। গত ১১ মাসের খাদ্যাভ্যাস পাল্টে যাবে যার প্রভাব পড়বে শরীর ও ক্লাবের ওপর। মৌসুমের এমন পর্যায়ে এসে এই কাজ করার অর্থ হলো চলন্ত গাড়িটিকে থামিয়ে দেওয়া। এতে রক্তে চিনির পরিমাণ কমবে এতে তারা শক্তি হারাবে।’