শুধু রমজান মাসে নয় বৈশাখের পুরো সময়ই বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে ভৈরবের জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।
বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানান, আমাদের এখানে বিদ্যুৎ কথনও যায় না, মাঝে মধ্যে আসে। অর্থাৎ দিনের ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত থাকি। রমযান মাসে তারাবী ও সেহরীর সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়ার সরকারী ঘোষণা দিলেও অন্যান্য মাসের চেয়ে রমজান মাসে অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে বলে সরকারের এ ঘোষণা ভেস্তে যেতে বসেছে।
এ সময় সেচ ও ইরিগেশন মৌসুম না হলেও ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে আগের তুলনায় অনেক বেশী। বিদ্যুতের লোডশেডিং এ প্রতিটি গ্রাহকসহ ধর্মপ্রাণ রোজাদাররা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
রোজার মাসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়ার সরকারী ঘোষণায় সলঙ্গাবাসী কিছুটা স্বস্তির পেলেও এ মাসে ইদানীং যে হারে বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে দিন ও রাতের বেলায় গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোড শেডিং এ জনজীবন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
বিদ্যুতের ঘন ঘন লোড শেডিং এর কারণে ঈদুল ফিতরের সামনে ব্যবসা বাণিজ্য ধস, ব্যাংক বীমা, কলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিপণী দোকান, কম্পিউটার ব্যবসাসহ বিভিন্ন দিকে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এতে করে ঈদের সামনে সাধারন জনগণ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই প্রচণ্ড তাপদাহ গরমের দিনে সারাদিন রোজা রাখার পর তারাবীর নামাজের সময় বিদ্যুৎ না থাকায় চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভৈরব বিদ্যুৎ জোনাল অফিসেরফোন রিসিভ না করার কারণে কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।
এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভৈরববাসী।