মার্কিন সিনেটর নির্বাচিত হয়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেছেন কিশোরগঞ্জের সন্তান শেখ মুজাহিদুর রহমান চন্দন।
মা আর গ্রামের বাড়িতে থাকা স্বজন ও বন্ধুদের দেখতেই তাঁর দেশে ফেরা। শেখ মুজাহিদুর রহমান চন্দনের জন্ম কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার সরারচরে।
সরারচরেই তাঁর গ্রামের বাড়ি। এ গ্রামের কাঁদামাটি জলে লুকিয়ে আছে তার দুরন্ত শৈশব ও কৈশোরের হাজারো স্মৃতি।
বড় ছেলে শেখ মুজাহিদুর রহমান সিনেটর নির্বাচিত হওয়ায় তাঁর চেয়ে বেশি আনন্দিত আর কেউ হয়নি জানিয়ে মা হাজিরা খাতুন বলেন, কতদিন পর আমার ছেলেকে কাছে পেয়েছি। তাই এ আনন্দ কেমন করে ধরে রাখি! সন্তান জন্মের পরই আমার বিশ্বাস ছিল আমার ছেলে-মেয়েরা একদিন দেশ-বিদেশে সুনাম বয়ে আনবে। আমার স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে। আমি মনে করি আমার ছেলে একদিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবে। হয়তো সেদিন আমি থাকব না।
এদিকে গত নভেম্বরে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে সিনেটর নির্বাচিত হওয়ায় বুধবার স্থানীয়রা তাঁকে সংবর্ধনায় অভিষিক্ত করে। এ সময় তাঁর ছোটভাই শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালসহ স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
দেশে ফিরে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নতির প্রশংসা করে অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ডেমোক্রেটিক দলের নেতা মুজাহিদুর রহমান চন্দন বলেন, ৩৯ বছর আগে যে বাংলাদেশ রেখে গিয়েছিলেন, সেই দেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর যেখানে দেশের লোকজনের গড় আয় ছিল ২০০ ডলার আজ সেই আয় বেড়ে চার হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এ সব উন্নতি দেখে তিনি বিস্মিত হয়েছেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিনেটর চন্দন আরও বলেন, এখন বাংলাদেশকে আর কারো কাছে হাত পাততে হয় না। খাদ্য শস্যে উদ্বৃত্ত একটি দেশ হয়েছে। রাস্তাঘাটের বিরাট উন্নতি হয়েছে, তথ্য ও প্রযুক্তিতে অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। এ সব দেখে বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করছেন বলেও জানান তিনি।
এ সময় তিনি নিজ এলাকার লোকজনের কাছে মার্কিন জনগণের অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে দোয়া চান। পরে এলাকাবাসীর সঙ্গে তিনি ইফতার মাহফিলে যোগ দেন।
অনুষ্ঠান শেষে তিনি বৃদ্ধ মা ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে একান্তে বেশ কিছু সময় কাটান।