কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে আবেদন গ্রহণ চলছে। ভর্তিচ্ছুরা আবেদন করছেন। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে ঘটছে আশ্চর্যের ঘটনা। নিজে আবেদন করেননি, কিন্তু তার নামে ইতোমধ্যে আবেদন জমা পড়েছে। পছন্দের কলেজে আবেদন করতে গিয়ে পড়ছেন বিড়ম্বনায়। নিজের অজান্তে এমন ‘ভৌতিক’ আবেদন বাতিলে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা ছুটে আসছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে। তাদের চাপে দিশেহারা শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ মঙ্গলবার বলেন, একাদশের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন ভুয়া আবেদনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এসব আবেদন নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ছুটে আসছেন। তাদের কাছ থেকে লিখিত আবেদন রাখা হচ্ছে। ভুয়া আবেদন পড়ার বিষয়ে এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুয়া আবেদনকারীদের শনাক্তের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবেদন ঠিক করে দেয়া হচ্ছে।
২৩ মে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রথম ধাপের আবেদন করা যাবে বলে ঢাকা বোর্ডে সূত্রে জানা গেছে। ইতোমধ্যে ঢাকা বোর্ডে প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ আবেদন জমা হয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ জানান, অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে গত ১২ মে দুপুর থেকে একদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৫ হাজার ২৭৩ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছে। তারা মোট আবেদন করেছে ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৮টি।
এর মধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে ৩ লাখ ১৮ হাজার ২৯৭ জন মোট ১৫ লাখ ৯২ হাজার ২১৭টি ও এসএমএসের মাধ্যমে ৪৪ হাজার ৮৯৬ জন মোট ৫২ হাজার ৩৩১টি আবেদন করেছে। আগামী ১০ জুন প্রথম ধাপের আবেদনকারীদের ফল প্রকাশ করা হবে। ঢাকা বোর্ডে মোট ৬ লাখের মতো আসন রয়েছে বলে জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক।
এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম ধাপের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন করা যাবে ১৯ ও ২০ জুন। ২১ জুনই তাদের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। তৃতীয় ধাপে আবেদন নেয়া হবে ২৪ জুন। ফল প্রকাশ করা হবে ২৫ জুন। নির্বাচিত কলেজে শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে হবে ২৭ থেকে ৩০ জুন।
অনলাইনে সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা মাদরাসায় আবেদন করা যাবে। এজন্য নেয়া হবে মোট ১৫০ টাকা। মোবাইল ফোনে প্রতি এসএমএসে একটি করে কলেজে আবেদন করা যাবে। এজন্য মোট ১২০ টাকা দিতে হবে।
তবে এসএমএস ও অনলাইন মিলিয়ে কোনো শিক্ষার্থী ১০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে না। এবার প্রথম ধাপের আবেদনের ফল প্রকাশ না করা পর্যন্ত আবেদন তালিকায় কলেজের পছন্দক্রম রদ-বদল করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। ভর্তির জন্য কলেজ পাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চয়ন (রেজিস্ট্রেশন) করতে হবে।