কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কাওসার (১৪) ও ফেরদৌস (১৬) নামে দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে গ্রেফতারকৃত দু’জনকে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (২০ মে) রাতে উপজেলার চণ্ডিপাশা ইউনিয়নের ষাইটকাহন গ্রামের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া দুই কিশোরের মধ্যে কাওসার উপজেলার ষাইটকাহন গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে এবং ফেরদৌস একই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রোববার (১৯মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির সামনের একটি দোকানে বিস্কুট কিনতে যাওয়ার সময় শিশুটিকে ফেরদৌস এবং কাওসার কৌশলে ফেরদৌসদের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে বাড়ির একটি হাফবিল্ডিং ঘরে ঢুকিয়ে ভেতর দিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়।
ওই সময় শিশুটিকে জোরপূর্বক একটি খাটে শুইয়ে ফেরদৌস শিশুটির মুখ চেপে ধরে রাখে এবং কাওসার ওই শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে শিশুটি তার মুখ থেকে ফেরদৌসের হাত সরিয়ে দিয়ে চিৎকার শুরু করে।
তার চিৎকার শুনে ফেরদৌসের চাচাতো ভাই শাহিনসহ আশপাশের কয়েকজন এগিয়ে আসে। এসময় ফেরদৌস ও কাওসার শিশুটিকে ঘরের বাইরে বের করে দিয়ে উভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সোমবার (২০ মে) রাতে ওই শিশুর মা বাদী হয়ে দুজনকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্র্যাতন আইনে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই অভিযুক্ত দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুর রহমান বলেন, দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত দুই কিশোরকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।