পরিবার ছেড়ে ঈদ! মিরাজ,’এটাও তো পরিবার।’ ইংল্যান্ডে আজ ঈদ পালন করছেন মুসলিমরা। মুসলমানদের সবথেকে বড় এ উৎসবে সবাই চায় পরিবারের সঙ্গে থাকতে। আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে। কিন্তু পেশাদারিত্বের কারণে সবাই তা পারে না। বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের মঞ্চে থাকায় বাংলাদেশ দলও পারছে না।
সিনিয়র পাঁচ ক্রিকেটারের বাদে ইংল্যান্ডে পরিবার আনেননি কেউ। কিন্তু বাংলাদেশ দলও তো আরেকটি পরিবার। সুখী ‘পরিবার’ এক সঙ্গে থাকায় পরিবার থেকে দূরে থাকার কষ্ট ভুলেছে বাকিরা। তাইতো মিরাজ বলেন এটাও আরেকটি পরিবার।
ঈদের দিন সকালে নামাজ আদায় করেছেন ক্রিকেটাররা। কোথায় নামাজ পড়েছেন নিরাপত্তার কারণে বলতে নারাজ আইসিসি। জানা সত্ত্বেও আমরা তা প্রকাশে অনিচ্ছুক। টেমস নদীর পাড়ের রিভার ব্যাংক পার্ক হোটেলে থাকছে দল। মসজিদে যাবার আগে হোটেলের সামনে ফটোসেশান করেছেন ক্রিকেটাররা।
সাব্বির সেসব ছবি দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গণমাধ্যমের জন্য সেগুলোই ভরসা। কারণ নিরাপত্তার ফাঁকে কেউ ছবি তুললেও তা ডিলিট করতে বাধ্য করছেন নিরাপত্তা কর্মীরা।
দেশ থেকে সবাই পাঞ্জাবি নিয়ে এসেছেন। অধিনায়ক মাশরাফির পছন্দ হলুদ রঙের পাঞ্জাবি। উপরে পড়েছিলেন ছাই রঙের শাল। বাবার মতো পাঞ্জাবিতে ছিলেন সাহেলও। প্রথম ম্যাচের নায়ক সাকিবের পছন্দ বেগুনি রঙের পাঞ্জাবি। নিচে পায়জামা ও ওপরে কটিও ছিল একই রঙের। মুশফিকের প্রিয় রঙ গোলাপি। দেশ থেকে ওয়েসলি ব্রান্ডের পাঞ্জাবি কিনেছিলেন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ বেগুনি, সাব্বির সাদা, রুবেল ও সাইফ উদ্দিন লাল রঙের পাঞ্জাবি পড়েছিলেন।
ঈদ মানেই খাবারের তালিকায় থাকতে হবে সেমাই-পায়েস, পোলাও-কোরমা। দেশ থেকে দূরে থাকলেও এ খাবার মিস করছেন না ক্রিকেটাররা। যুক্তরাজ্যর বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম বাসা থেকে ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের জন্য হোটেলে খাবার রান্না করে পাঠিয়েছেন।মধ্যাহ্ন ভোজে সেই খাবার খেয়েছেন হোটেলে থাকা ক্রিকেটাররা।
দুপর ১২টায় নামাজের পর হোটেল ফিরে অনেকে বেরিয়েছিলেন। আগামীকাল বাংলাদেশের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় অনুশীলনে নামবে দল। এর আগে বেলা তিনটায় টিম মিটিং। মাশরাফি আগেই বলেছিলেন এবারের ঈদে খেলায় মনোযোগ তাদের। সাদামাটা ঈদ কাটিয়ে সেই পথেই হেঁটেছেন তারা।