বৃষ্টি উপেক্ষা করে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে দেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮২৮ সালে প্রথম জামাতের পর এবারের ঈদুল ফিতরের জামাতটি ঈদগাহ ময়দানের ১৯২তম জামাত।
এ বছর ঈদ জামাত শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায়। এতে ইমামতি করেন মুফতি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজসহ বিশিষ্টজনেরা এ মাঠে নামাজ আদায় করেন।
দেশের বৃহত্তম এ ঈদের জামাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো মুসল্লি অংশ নেন। এর আগে ভোর থেকে বৃষ্টি থাকলেও মুসল্লিরা দলে দলে আসতে থাকেন শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বৃষ্টি ও মুসল্লির সংখ্যা।
এদিকে, ২০১৬ সালের ৭ই জুলাই ঈদ জামাতের বাহিরে পুলিশকে লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলার ঘটনাকে মাথায় রেখে এবারো জোরদার করা হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ১০টি ভাগে ভাগ করা হয়। চার স্তরের নিরাপত্তায় এক হাজারেরও বেশি র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করে ৫ প্লাটুন বিজিবি। ঈদগাহকে কেন্দ্র করে ৩২টি চেকপোস্ট, ১৭টি পিকেট (নির্ধারিত স্থানে বসে দায়িত্বপালন) ও রোড ডিউটি স্হাপন করা হয়।
এছাড়াও মাঠ ও মাঠের আশপাশ এলাকায় ড্রোনে পর্যবেক্ষণ ছাড়াও ঈদগাহ ময়দানের বাইরে, ভেতরে ও প্রবেশ পথে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেয়া হয়। ঈদগাহ ময়দান, আশেপাশের এলাকা এবং অলিগলিসহ মাঠ সংলগ্ন চারপাশের অন্তত দুই কিলোমিটার এলাকা নিয়ে আসা হয় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় আওতায়। মাঠে স্থাপন করা হয় ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার। এর চারটিতে পুলিশ বাহিনী ও দুইটিতে র্যাব বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়ে ঈদজামাতের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা তদারকি করে। এছাড়া মাঠে ব্যবহার করা হয় আর্চওয়ে ও মাইন মেটাল ডিটেক্টর। প্রথমবারের মতো এবার র্যাবের নিরাপত্তা বহরে যুক্ত হয় অত্যাধুনিক স্নাইপার রাইফেল।