২৪৫ রানের লক্ষ্য দিয়েও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে দারুণ লড়াই করেছে বাংলাদেশ। এই হারের পেছনে অনেকগুলো কারণ আর আক্ষেপ উঠে এসেছে। তারই একটি উইকেটকিপিংয়ে মুশফিকুর রহিমের ভুল। স্টাম্প ভাঙার আগেই তার হাত লেগে বেল পড়ে যাওয়ায় রান আউট হননি কেন উইলিয়ামসন। জীবন পেয়ে রস টেলরের সঙ্গে অধিনায়ক দারুণ এক জুটিতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন। কিন্তু এই ভুলের পরও মুশফিকের পাশে থাকলেন মাশরাফি মুর্তজা।
১২তম ওভারে জমে উঠেছিল এই নাটক। নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক তখন ৭ রানে অপরাজিত। সাকিবের বলটি রস টেলর ঠেলে দিয়ে দৌড় দিলেন, মিড অন থেকে তামিম ইকবালের দারুণ একটি থ্রো হাত বাড়িয়ে ধরার আগেই মুশফিকের কনুই লেগে বল পড়ে যায়। সেটা বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক বুঝতে পারেননি। তবে নিজের কাজটা ঠিকভাবে করেছেন, উইলিয়ামসন সীমানায় পৌঁছানোর আগেই স্টাম্প ভেঙে দেন। সাকিব-তামিমরা কিন্তু বুঝতে পেরেছিলেন ব্যাপারটা। মুশফিককে সেটা জানালে হতাশার ছাপ পড়ে তার চোখেমুখে। অবশ্য এমন ভুল করলেও অধিনায়ককে পাশে পাচ্ছেন অভিজ্ঞ এই উইকেটরক্ষক।
খেলায় এমন ভুল হওয়া স্বাভাবিক বললেন মাশরাফি, ‘এটা খেলার অংশ। এটা হতেই পারে। তবে এই সুযোগটা নিতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু তার (মুশফিক) ওপর আমাদের চড়াও হওয়া উচিত হবে না। এটা যে কারও সাথেই হতে পারে। মুশফিক তার সর্বোচ্চটা দিয়েই মাঠে চেষ্টা করে। তামিমের থ্রোটা ভালো ছিল। কিন্তু কিপার হিসেবে থ্রোগুলো পিক করা সব সময়ই কঠিন। সে যেভাবে চেয়েছিল, সেভাবে হয়নি। আগেই কনুই লেগে স্টাম্প ভেঙে যায়। এরকম ভুল হতেই পারে। এজন্য তার ওপর চড়াও হওয়ার কিছু নেই।’
নিজের ভুলে উইলিয়ামসনকে বাঁচিয়ে দিলেও রস টেলর ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মুশফিক। সেগুলোই মনে করিয়ে দিলেন মাশরাফি, ‘মুশফিক অবশ্যই পেশাদার খেলোয়াড়। এমন নয় যে মুশফিক এই জীবনে প্রথম ভুল করেছে, এর আগেও সে ভুল করেছে। এর চেয়ে ভালো ক্যাচ নিয়েছে। ভুল সব খেলোয়াড়ই করে। সব খেলোয়াড়ই সহজ ক্যাচ মিস করে ফেলতে পারে। আগের ম্যাচে সৌম্য সহজ ক্যাচ ফেলে দিয়েছিল। আজ কিন্তু সৌম্য কঠিন একটি ক্যাচ ধরেছে। এটা প্রত্যেকে খেলোয়াড়ের বেলায় হয়। মুশফিকেরও এমন হয়েছে। এ ব্যাপারে মুশফিকে আমরা দোষ দিতে পারি না। এই ভুলের পর রস টেলর ও গ্র্যান্ডহোমের দারুণ ক্যাচ নিয়েছে সে।’