কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কিশোরীকে মুঠোফোনে ডেকে এনে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ভিতর ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঈদের পরদিন রাত আনুমানিক সাড়ে দশটার দিকে পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তর পাড়ায় কাশঁফুল কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ভিতর এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা কিশোরী শহরের পঞ্চবটি এলাকার মৃত সাত্তার মিয়ার মেয়ে ও মডেল স্কুলের পঞ্চম শ্রেণী শিক্ষার্থী ডালিয়া আক্তার মীম।
এ ঘটনায় কিশোরীর মা সাজেদা বেগম বাদী হয়ে ভৈরব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় কিশোরীর প্রেমিক রনি মিয়া (২০) প্রধান অভিযুক্ত আসামী করা হয়। এছাড়াও ধর্ষণে সহযোগিতা করায় কাঁশফুল কিন্ডার গার্টেন স্কুলের পিয়ন ইমন মিয়া (২২) সহ তাঁর বন্ধু নূর মোহাম্মদ (২১) ও আশিক (২০) কে আসামী করা হয়। এই মামলায় অভিযুক্ত ৪নং আসামী আশিককে গ্রেফতার করে ভৈরব থানা পুলিশ।
জানা যায়, ঈদের পরদিন প্রেমের সম্পর্কের টানে প্রেমিকা মীমকে প্রেমিক রনি মুঠোফোনে ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এমপি পাইলট গার্লস স্কুলের সামনে কাশফুল কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ডেকে আনেন। স্কুল পিয়ন ইমনের সহযোগীতায় রনি প্রেমিকা মীমকে স্কুলের একটি ক্লাসের ভিতর নিয়ে যায়। এসময় মেয়ের খালা রুপা আক্তার মীমের সাথে আসলেও তাকে বের করে স্কুলের গেইট তালা বদ্ধ করে পিয়ন। স্কুল ক্লাসের ভিতরে ওই কিশোরী প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে প্রেমিক রনি। ধর্ষণের পরপরই মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরবর্তীতে ঘটনাটি সবার নজরে আসে।
ভৈরব থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠকে জানান, ঘটনার পরদিন কিশোরীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার ৪নং অভিযুক্ত আসামী আশিককে গ্রেফতার করে আজ শনিবার কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রধান আসামী রনি মিয়া সহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে এ কর্মকর্তা জানান।