আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং।
৩৭ বছর বয়সি যুবরাজ সোমবার মুম্বাইয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন।
২০০০ সালে অভিষেকের পর যুবরাজ ভারতের হয়ে খেলেছেন ৪০ টেস্ট, ৩০৪ ওয়ানডে ও ৫৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান, কার্যকরী বাঁহাতি স্পিনার আর দুর্দান্ত ফিল্ডার- নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তার প্রজন্মে ভারতের সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে।
যুবরাজের সেরা সাফল্য অবশ্যই ২০১১ বিশ্বকাপ। যেখানে চারটি হাফ সেঞ্চুরি, একটি সেঞ্চুরিতে ৩৬২ রান এবং এক ম্যাচে পাঁচটিসহ ১৫ উইকেট তাকে এনে দেয় টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার। দ্বিতীয়বারের মতো ভারত ঘরে তোলে বিশ্বকাপ শিরোপা।
বিশ্বকাপের পর যুবরাজের শরীরে বাসা বেঁধেছিল মরণব্যাধি ক্যান্সার। যে কারণে এক বছর থাকতে হয়েছিল মাঠের বাইরেও। তবে ক্যান্সার জয় করে ঠিকই আবার দোর্দন্ড প্রতাপে ফেরেন মাঠে।
২০১৭ সালের জুনে ভারতের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর তাকে আর জাতীয় দলে দেখা যায়নি। এবার জাতীয় দলকে বিদায়ই বলে দিলেন। বিদায় বলেছেন আইপিএলকেও। তবে পেশাদার ক্রিকেটকে পুরোপুরি বিদায় বলছেন না এখনই, খেলে যেতে চান আইসিসি অনুমোদিত বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে।
অবসরের ঘোষণা দিয়ে যুবরাজ বলেন, ‘২২ গজে ২৫ বছর হয়ে গেল আমার, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও প্রায় ১৭ বছর পার করে ফেলেছি। এই খেলা থেকে আমি অনেক কিছুই শিখেছি- কীভাবে লড়াই করতে হয়, কীভাবে পড়ে যাওয়ার পরও ধুলো ঝেড়ে ফেলে আবার উঠে দাঁড়াতে হয়। যখন খেলা শুরু করেছিলাম, কল্পনাও করিনি ভারতের হয়ে আমি ৪০০ ম্যাচ খেলব।’
ওয়ানডেতে যুবরাজের রেকর্ড দুর্দান্ত। ভারতের হয়ে সপ্তম সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৭০১ রান করেছেন ৩৬.৫৫ গড়ে। সেঞ্চুরি আছে ১৪টি। উইকেট নিয়েছেন ১১১টি। টেস্টে ৩ সেঞ্চুরিতে করেছেন ১ হাজার ৯০০ রান। উইকেট ৯টি।
আর টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার ১৭৭ রানের সঙ্গে উইকেট ২৮টি। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা ছিল তার। যেখানে তিনি ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে মেরেছিলেন ছয় ছক্কা।