শুধু রান নয়, বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড-আফগানিস্তান ম্যাচে এররকম রেকর্ডের বন্যা বইয়ে গেছে!
ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আজ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রান করেছে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে যা ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান। কিছুদিন আগে কার্ডিফে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান ছিল আগের রেকর্ড।
ইংল্যান্ডকে রানের পাহাড়ে তুলতে বড় অবদান যার, সেই এউইন মরগান মাত্র ৭১ বলে ৪ চার ও ১৭ ছক্কায় করেছেন ১৪৮ রান। বিশ্বকাপে কোনো ইংলিশ ব্যাটসম্যানের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটি। মরগানের ওপরে আছে কিছুদিন আগে কার্ডিফে বাংলাদেশের বিপক্ষে জেসন রয়ের ১৫৩ ও ২০১১ সালে বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের ১৫৮ রান।
মরগান সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ৫৭ বলে। বিশ্বকাপে যা চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি। প্রথম তিনটি স্থানে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স (৫২ বল), অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৫১ বল) ও আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রায়েন (৫০ বল)।
মরগানের ১৭ ছক্কা বিশ্বকাপে তো বটেই, ওয়ানডে ইতিহাসেই এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার বিশ্ব রেকর্ড। রোহিত শর্মা, ডি ভিলিয়ার্স ও ক্রিস গেইলের ১৬ ছক্কা ছিল আগের রেকর্ড।
ইংল্যান্ডের ইনিংসে মোট ছক্কা হয়েছে ২৫টি। যা ওয়ানডেতে এক ইনিংসে কোনো দলের সর্বোচ্চ। ইংল্যান্ড ভেঙেছে নিজেদের রেকর্ডই। এ বছরের শুরুতে গ্রানাডায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৪ ছক্কা মেরেছিলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা।
এবার বোলিংয়ে আসা যাক একটু। আফগান লেগ স্পিনার ৯ ওভারে দিয়েছেন ১১০ রান। যা বিশ্বকাপে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড। পেছনে পড়েছে ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের পেসার মার্টিন স্নেডেনের ১২ ওভারে দেওয়া ১০৫ রান।
রশিদের ১১০ রান ওয়ানডে ইতিহাসেই যৌথভাবে দ্বিতীয় খরুচে বোলিং। ২০১৬ সালে ট্রেন্ট ব্রিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ ওভারে ১১০ রান দিয়েছিলেন পাকিস্তানের পেসার ওয়াহাব রিয়াজও। আর ২০০৬ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০ ওভারে ১১৩ রান দিয়ে বিশ্ব রেকর্ডটা দখলে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিক লুইস।