কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কৃষকের মেয়ে (১৮) কে ধর্ষনের অভিযোগে মোঃ হুমায়ুন কবির (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষক হুমায়ুন কবির উপজেলার পশ্চিম আব্দুল্লাপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক হুমায়ুন কবির একই গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে (১৮) কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দির্ঘদিন যাবৎ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢেকে নিয়ে ধর্ষন করে আসছিল। সর্বশেষ গত ১৩ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে শারীরিক সম্পর্ক শেষে ওই মেয়ে হুমায়ুন কবিরকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে হুমায়ুন কবির ওই মেয়েকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে।
এ ঘটনায় আপোষ মীমাংসার চেষ্ঠায় ব্যার্থ হয়ে ওই মেয়ে রবিবার (২৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে কুলিয়ারচর থানায় ধর্ষক হুমায়ুন কবিরের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন ধমন আইন ২০০০ (সংশোধিত/০৩) এর ৯ (১১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-১৯। মামলা রুজু হওয়ার ১ ঘন্টা পর ধর্ষক হুমায়ুনকে আটক করে মাননীয় আদালত কিশোরগঞ্জের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরন করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে রবিবার বিকেলে থানায় গিয়ে ধর্ষিতা মেয়িটির সাথে কথা হলে সে বলে, তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিযে হুমায়ুনের ব্যাবসা প্রতিষ্টানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করেছে।
বিয়ের জন্য চাপ দিলে হুমায়ুন তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় স্থানীয় গোবরিয়া আব্দুল্লাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্বাছ উদ্দিনকে জানালে চেয়ারম্যান সাহেব তাকে বলে কাউকে কিছু না জানিয়ে চুপ করে থাকার জন্য। এ জন্য থানায় অভিযোগ দিতে দেরী হয়েছে।
এ ব্যাপারে গোবরিয়া আব্দুল্লাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মেয়েটির বক্তব্যের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, এটি একটি প্রেম সংগঠিত ঘটনা। থানা পুলিশ হুমায়ুন কে আটক করার পর পুলিশের সহায়তায়
দু’জনের বিয়ের ব্যাবস্থা করা হয়েছিল। মেয়ের বাবা এতে রাজি না হওয়ায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আরিফ রব্বানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রবিবার (২৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মামলা রুজু হওয়ার পর দুপুর আড়াইটার দিকে ফোর্স নিয়ে পশ্চিম আব্দুল্লাপুর গ্রাম থেকে হুমায়ুন কবিরকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,ছেলে মেয়ের বিষয়টি ধর্ষনের ঘটনা নয়, এটি একটি প্রেম সংঘটিত ঘটনা।