২৯তম সাকিব আল হাসানের জোড়া আঘাতে বড় ধরনের বিপর্যয়ে পড়েছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের দেয়া ২৬২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১০৪ রানেই নেই চার উইকেট।
আজ সোমবার ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনের রোজ বোল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নায়েব। বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে তিনটায় ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা ১০ মিনিট বিলম্ব হয়। মুশফিকুর রহিমের ৮৩ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস ও মোসাদ্দেক হোসেনের ৩৫ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৬২ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জয়ের জন্য আফগানিস্তানের লক্ষ্য ২৬৩ রান।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৩ রানে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন হয়। মুজিব উর রহমানের বলে হাসমতউল্লাহ শাহিদির হাতে ক্যাচ দেন ব্যাটসম্যান লিটন দাস। এরপর তামিম ইকবালের সঙ্গে যোগ দেন সাকিব আল হাসান। দুজনে মিলে খেলেন ৫৯ রানের জুটি। এই জুটিতে ভর করে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ। সেই স্বপ্নে ব্যাঘাত ঘটান মোহাম্মদ নবী। ৩৬ রান করা সেট ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালকে ফেরান তিনি। দলীয় ৮২ রানের মাথায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়।
এরপর মুশফিক-সাকিবের ৬১ রানের জুটি আফগানদের আরেক দফা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ যাত্রায় আফগানদের রক্ষা করেন মুজিব উর রহমান। সাকিব আল হাসানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট। আউট হওয়ার আগে ৬৯ বল থেকে ৫১ রান করে এই আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের স্থান পুনর্দখল করেন সাকিব। দলীয় স্কোরে ৩ রান যোগ করে সৌম্য সরকার সাজঘরে ফিরলে দলীয় ১৫১ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সৌম্যকে ফিরিয়ে তৃতীয় শিকারের দেখা পান মুজিব। এ চাপও কেটে যায় মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর ৫৬ রানের জুটিতে। দলীয় ২০৭ রানে বাংলাদেশের পঞ্চম উইকেটের পতন হয়। গুলবাদিন নায়েবের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুশফিক-মোসাদ্দেকের দ্রুতগতির ৪৪ রানের জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় টাইগাররা। মুশফিক আউট হন ব্যক্তিগত ৮৩ রানে। মুজিব উর রহমান তিনটি এবং মোহাম্মদ নবী, দওলত জাদরান ও গুলবাদিন নায়েব একটি করে উইকেট পেয়েছেন।