muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

ফিচার

ফেরাউন-তুতানখামেনের মৃত্যু ও মমি রহস্য! : পর্ব ১

আমাদের এ পৃথিবীতে রয়েছে অনেক রহস্যময় কান্ড। আর সেটা যদি হয় মমি নিয়ে তাহলে তো সেটা একটু বেশী অবাক হওয়ার ই কথা। প্রাচীন মিশরের মানুষ বিশ্বাস করতো মানুষের মৃত্যুর পর আত্মা পুনরায় দেহে ফিরে আসে। তাই সেই দেহ যাতে নষ্ট না হয়ে যায় সে জন্য তারা এক বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করতো। এই বিশেষ পদ্ধতিটিই হলো মমি। মমি নিয়ে সব জট এখনো পুরোপুরি খোলা যায় নি। অনেক মমি নিয়েই আছে অনেক রহস্যময় কাহিনী।

তবে সবচেয়ে বেশি রহস্য যে মমিটিকে ঘিরে আছে তা হলো ফারাও রাজা তুতানখামেনের মমিকে নিয়ে। তার মমিকে যে ই বিরক্ত করবে তার কপালেই নাকি দেখা দিবে মৃত্যু। এই বিশ্বাসটা গাঢ় হওয়ার পিছনে রয়েছে অবিশ্বাস্য কিছু ঘটনা। তবে সেসব জানার আগে চলুন আগে জেনে নিই এই ফারাও রাজা তুতানখামেনের মৃত্যু ও রহস্য।

মিশরের ফেরাউনদের রাজ্যের কনিষ্ঠ শাসক ছিলেন তুথেনখামেন। মাত্র ১০ বছর বয়সেই সম্রাট হয়ে যাওয়া তুথেনকামুনের রহস্যে নিয়েই ধারাবাহিক ভাবে লিখছি ফেরাউন তুতেনখামেন। মাত্র দশ বছর বয়সেই এই ফেরাউন মিশরের হাল ধরেন। খ্রিস্টপূর্ব্ ১৩২৩ থেকে ১৩৩১সাল পর্যন্ত ছিল তার রাজত্ব কাল। মাত্র নয় বছর সিংহাসন পরিচালনার পর ১৯ বছর বয়সে এই তরুণ ফেরাউনের মৃত্যু ঘটে।

কিন্তু তার মৃত্যু নিয়ে রয়েছে অবিশ্বাস্য অনেক রহস্য। এই ফেরাউনের মৃত্যুর সঠিক কারন আধুনিক বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এখনও উদঘাটন করতে পারেনি। তার মৃত্যু নিয়ে প্রত্নতাত্ত্ববিদদের রয়েছে নানা অভিমত। কেহ মনে করেন, সাপের কামরে, কেহ মনে করেন, ঘোড়া থেকে পরে, কেহ মনে করেন মেলেরিয়া জ্বরে আবার কেহ মনে করেন ছুরিকাঘাতে মৃত্যু বরণ করেছিলেন এই তরুণ ফেরাও। তার সমাধি নিয়ে ও রয়েছে নানা অবিশ্বাস্য ভয়ংকর কাহিনী!

চলবে…..

Tags: