টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে আদর্শ বিজ্ঞাপন ক্রিস গেইল। বরিশাল বুলসের এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানের বিপিএল শুরু হচ্ছে রবিবার। সিলেট সুপার স্টার্সের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা তার। বিপিএলে দেখা যাবে গেইল শো।
ক্রিকেটভক্ত মাত্রই তাকিয়ে থাকবেন গেইলের ব্যাটের দিকে। কেবল তার প্রতিপক্ষ ছাড়া। শুক্রবার তিনি ঢাকায় পা রাখার আগেই সেঞ্চুরির বুকিং দিয়ে রেখেছেন! তারই স্বদেশী ও বরিশালের সতীর্থ ইভিন লুইস এবারের আসরের একমাত্র সেঞ্চুরিটি হাঁকিয়েছেন। ইন্টারনেটে সেই খবর পেয়ে টুইটারে গেইল জানিয়ে দিয়েছিলেন, তার জন্য একটি সেঞ্চুরি তুলে রাখতে। এখন তার কথা রাখার সময়!
বিশাল বিশাল ছক্কা অবলিলায় হাঁকিয়ে ফেলেন গেইল। আর ঢাকায় পৌঁছেই বলেছেন, ‘ছক্কা’ মারতে এসেছেন। তাহলে ছক্কার ফুলঝুরিও ফুটলো বলে!
বিপিএলের শেষ দুই আসরে গেইল একাই হাঁকিয়েছেন তিনটি সেঞ্চুরি। এবারের আসরের প্রাথমিক পর্বে খেলতে পারবেন চারটি ম্যাচ। বরিশাল সেমিফাইনালে খেললে আরো এক থেকে তিনটি ম্যাচে দেখা যাবে তাকে।
অনেকগুলো ম্যাচই তাহলে পাচ্ছেন গেইল! তার জন্য অনেকই। বিপিএলের আগের দুই আসরে সব মিলিয়ে ৬ ম্যাচ খেলেছেন গেইল। ১০০.৫০ গড়ে ও ১৯৬.০৯ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৪০২। ২৪টি চার মেরেছেন। ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৩৮টি! গেইলের ছক্কার রেকর্ড এখন পর্যন্ত ভাংতে পারেননি কেউ।
বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিটি এসেছিল গেইলেরই ব্যাট থেকে। প্রথম বিপিএলের প্রথম ম্যাচেই ৪৪ বলে করেছিলেন ১০১ রান। বরিশাল বার্নার্সের হয়ে সেবার খেলেছিলেন ৫ ম্যাচ। সিলেট রয়্যালসের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করেছিলেন গেইল। ৬১ বলে করেছিলেন ১১৬ রান।
দ্বিতীয় বিপিএলে গেইল একটি মাত্র ম্যাচ খেলেছিলেন। সেটা ছিল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের পক্ষে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের সেই ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে ঢাকায় পৌঁছান গেইল। খেলে আবার বিমান ধরেন। মাঝের সময়টাতে সিলেট রয়্যালসের বিপক্ষে ৫১ বলে করেছিলেন ১১৪ রান।
অনেক দিন ধরে পিঠের ইনজুরিতে ভুগছেন গেইল। গত আগস্টে অস্ত্রোপচার করানোর পর ছিলেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে। চার মাস মাঠের বাইরে থাকার পর বিপিএল দিয়েই মাঠে ফিরছেন। ক্যারিয়ারে ২২২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন গেইল। ৪৪.২১ গড় ও ১৪৯.২৫ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৮২২৪ রান। সেঞ্চুরি করেছেন ১৬টি। ফিফটি আছে ৫২টি। সর্বোচ্চ ইনিংসটি অপরাজিত ১৭৫ রানের।