কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইয়াছির মিয়া মাজার ভিত্তিক মাদকের আড্ডা প্রতিহত করার অঙ্গীকার করে বলেন, সবাই মিলে মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে উপজেলা পরিষদ হল রুমে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস- ২০১৯ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, এ উপজেলায় সবচেয়ে বেশী মাজার আছে। মাজার থেকেই সবচেয়ে বেশী মাদক ছড়ায়। মাজারেই মদকের মূল আড্ডা। এখান থেকেই মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবন শুরু হয়। মাজার হবে ইবাদতের স্থান। মাদকের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে ঘৃণা করে নয় ভালোবাসা দিয়ে এ পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের বুঝাতে হবে ধর্মের প্রতি অঘাত বিশ্বাস এনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে মাদক থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
আজ মাদকের জন্যই লক্ষ্মীপুরে একটি মারামারি ঘটনা ঘটেছে। মাদকের ফলে এদেশে বাল্যবিবাহ,
মারা মারি, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই বৃদ্ধি পেয়েছে। মাদক নির্মূলে যারা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে তারাই (পুলিশকে উদ্দেশ্য করে) আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেই। আশা করবো আগামী দিনের এসব প্রোগ্রামে তারা যেন উপস্থিত থাকেন। আপনারা আমাকে সহযোগীতা করলে এক বছরের মধ্যেই এ উপজেলাকে মাদক মুক্ত ঘোষণা করতে পারবো ইনশাল্লাহ।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউসার আজিজের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ নূরে আলম, জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমান, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর মোঃ মিছবাহুল ইসলাম, ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ শাহ্ আলম, কুলিয়ারচর সরকারি কলেজের প্রভাষক মোঃ রফিকুল বাহার ও একাদশ শ্রেণির ছাত্র ওয়াজিব মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসের নাজির মোঃ রাফিউল হক।এর আগে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইয়াছির মিয়া ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউসার আজিজের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে শহরের গুত্বপূর্ণ রাস্তা প্রদক্ষিন শেষে পুনরায় উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে শেষ করে।