মনোয়ার হোসাইন রনি ।। আবারো অভিনব পন্থায় সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাত হয়েছে। ভিন্ন ভাবে চেক উঠিয়ে এ টাকা জালিয়াতি কাজে সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে।
কিশোরগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এ কে এম লিয়াকত হোসাইন মানিকের টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। চেক না উঠিয়ে অন্য মহিলা দিয়ে এ টাকা উঠিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চেকের দাবিদার মনোয়ারা বেগম অসুস্থতার জন্য কিশোরগঞ্জে নেই বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ট জনেরা। গতকাল তার মোবাইল ফোনে টাকা উঠালে একটি ম্যাসেজ আসে। এর খবর নিতে গেলে দেখা যায় ভিডিও ফুটেজে নীল বোরকা পড়া একটি মহিলা ম্যানেজার জাহাঙ্গিরের রুমে এসে পানি খায়। তিনি দাবি করেন তিনি মনোয়ারা বেগম। পরে চেলেন্জ করলে, মনোয়ারা বেগমকে ফোন দিতে বললে তিনি ফোন দেন। কিন্তু ফোনে কোন সদুত্তর পাওয়া যায় নি। তাকে বিকেলে ব্যাংকে উপস্থিত হতে বললে তিনি মনোয়ারা বেগমকে ব্যাংকে উপস্তিত করতে পারেন নি। তিনি থাানায় জিডি করে চেক দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জিডির কাগজ দেখাতে পারেন নি।
খোজ খবর নিয়ে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম লিয়াকত হোসাইন মানিকের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম দীঘ ৪ মাস যাবত ঢাকায় অবস্থান করছেন এবং তার মেয়ের বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন। এ কথা তার আত্মীয় স্বজনেরা নিশ্চিত করেছেন । তিনি ৪ মাসের মধ্যে কিশোরগঞ্জে আসেন নি।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গির আলম বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক দূনীতির সাথে জড়িত। অন্য মানুষ দিয়ে নামে বেনামে টাকা উঠিয়ে বিভিন্ন ধরনের হয়রানী করছে গ্রাহকদের এমন অভিযোগ রয়েছে বিস্তর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, সে বিএনপির সময় বিএনপি, জামাতের সময় জামাত, আওয়ামীলীগের সময় বড় আওয়ামীলীগার হয়ে দাবরিয়ে বেড়ান। তার চেক জালিয়াতির ঘটনা নতুন নয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা মুক্তযোদ্ধা কমান্ডার আসাদউল্লাহ জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি।দোষী হলে ব্যাংক ম্যানেজারের অবশ্যই শাস্তি হতে হবে।