সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়। যা ধীরে ধীরে সেই পরিচয় এগিয়ে যায় প্রেমের সম্পর্কে। এরপর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই করুণ পরিণতি হল প্রেমিকার। প্রেমিকের হাতে প্রাণ দিতে হল ১৭ বছরের ওই তরুণীকে। অবশ্য প্রেমিকাকে হত্যা করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে প্রেমিকও।
গত ১৫ জুলাই নিউইয়র্কের উটিকার বাসিন্দা ১৭ বছরের তরুণী বিয়াঙ্কা ডেভিনসের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার প্রেমিক নিউইয়র্কের ব্রিজওয়াটারের বাসিন্দা ব্রান্ডন ক্লার্কের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। পেশায় ব্রান্ডন একজন আইনজীবী।
জানা গেছে, ১৫ জুলাই ইনস্টাগ্রামে ওই তরুণীর মৃতদেহের ছবি আপলোড করে হত্যাকারী ব্রান্ডন। যা দেখে অনেকেই পুলিশকে খবর দেন। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, ব্রান্ডন নিজেই ৯১১ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে গোটা ঘটনাটি জানায়। এরপর ব্রান্ডনের ফোনের সূত্র ধরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রেমিকাকে হত্যার পর ব্রান্ডন নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তার শরীরেও আঘাতের চিহ্ন ছিল। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাত্র ২ মাস আগে ইনস্টাগ্রামে আলাপ হয় দু’জনের। এরপর সম্পর্ক গভীর হয়। দু’জনে দেখা করে। একসঙ্গে সময় কাটাত। দু’জনের পরিবারই বিষয়টি জানত। ১৩ জুলাই নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে যায় দু’জনে। সেখানে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে। এরপর তারা উটিকা ফিরে আসে।
এই ঘটনার একদিন পর ছুরি দিয়ে প্রেমিকাকে হত্যা করে ব্রান্ডন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমিকার মৃতদেহের ছবি আপলোড করে। এরপর নিজের হাতের শিরা ছুরি দিয়ে কেটে দেয়। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ব্রান্ডন। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। বিয়াঙ্কার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে তার পরিবার ও বন্ধুরা।