muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

ক্যাম্পাস

রাবি ক্যাম্পাসে বেপরোয়া যান চলাচল, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলোতে বেপরোয়া যান চলাচলের কারণে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে আতঙ্ক। চালকরা নিয়মের তুয়াক্ক না করে রিকসা, মটর সাইকেল,
ইজি বাইকগুলো বেপরোয়া ভাবে চালাচ্ছে ক্যাম্পাসে। আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠছে দ্রুত গতির যানবাহনগুলো। বারবার অভিযান চালিয়েও বহিরাগত ও বেপরোয়া গতির যানবাহন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বেপরোয়া যান চলাচলে নানা অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী অলি উল্লাহ বলেন, ক্যাম্পাসে নিরাপদে চলাচল করতে পারি না ভয় হয়। রাস্তার পাশ দিয়ে হাটলে মনে হয় গাঁয়ে লাগিয়ে দিচ্ছে। নিজ ক্যাম্পাসেও সড়ক দূঘটনার আতঙ্ক নিয়ে থাকি। বেশির ভাগ মটর সাইকেল চালকরা বহিরাগত। তারা কোন নিয়ম না মেনেগাড়ি চালায়। প্রশাসন কোন ব্যবস্থা করছে না বলেই হয়ত চালকরা বেপোরোয়া ভাবে গাড়ি চালাতে সাহস পায়। শিক্ষার্থীরা এর নিয়ন্ত্রন চায়।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফারুক বলেন, ক্যাম্পাসে দিনদিন যানবাহন গুলো আতঙ্ক তৈরি করছে। রিকশা চালকরা নিয়মের তোয়ক্কাই করে না। ক্যাম্পাস যেনও মহাসড়কে পরিণত
হয়েছে। প্রতিদিন দূর্ঘটনার সম্মুখিন হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। প্রশাসন যাতে দ্রুত যান চলাচলের উপর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী শাহিদুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে অধিকাংশ মোটরসাইকেল চালক বহিরাগত। তাছাড়া বিভিন্ন হলে থাকা ছাত্রদের বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালাতে দেখা যায়। তারা যেভাবে গাড়ি চালায় তাতে যেকোনো সময় মারাত্মক অঘটন ঘটে যেতে পারে।

ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রিশাদ মিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচলের জন্য যাতায়াত ব্যবস্থা নিরাপদ করা জরুরি। যেকোনো সময় দূর্ঘটনায় কেড়ে নিতে পারে একজন শিক্ষার্থীর প্রাণ। ক্যাম্পাসে নির্ভয়ে চলাচলের জন্য নীতিমালা করা দরকার। নীতিমালায় যান চলাচলের নির্দিষ্ট গতিসীমা বেঁধে দিতে হবে।

বেপোরোয়া যান চলাচলের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড.লুৎফর রহমান বলেন, বেপরোয়া যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারি করা হচ্ছে দু-একদিনের মধ্যে প্রক্টরিয়াল বডি আবারও বসবে। সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tags: