নিউজিল্যান্ডের জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ। এখানকার সুশি খেতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসেন। গত শনিবার রাতে এসেছিল তারাও। যুগলে হানা দিয়েছিল রেস্তোরাঁতে। টেবিলে সাজানো সুশি পেট ভরে খেয়ে চলে গিয়েছিল তারা। যদিও বেশিদূর যেতে পারেনি। রেস্তোরাঁ থেকে বের হতেই হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় তাদের।
কারণ রেস্তোরাঁতে হানা দেওয়া কেউ মানুষ নয়, তারা পেঙ্গুইন। আকারে ছোট, নীলচে। রেস্তোরাঁয় বসানো ক্যামেরায় ধরা পড়েছে পুরো ঘটনা। ‘সুশি বি’ নামের এই রেস্তোরাঁর মালিকের কাছে শনিবার রাতে ফোন গিয়েছিল পুলিশের কাছ থেকে। পুলিশকর্মী তাকে বলেছিলেন, ‘আপনার রেস্তোরাঁ চত্বরে গ্রেপ্তার হয়েছে।’
কথাটা শুনে ঘুম উড়ে গিয়েছিল মালিকের। চোর-ডাকাত নাকি অন্য কোনো অপরাধী? নানা শঙ্কা মাথায় নিয়ে রেস্তোরাঁয় পৌঁছান তিনি। তবে আটককৃতদের দেখে তো মাথায় হাত। খবর যায় পেঙ্গুইন সংরক্ষণ বিভাগে। সেখান থেকে প্রতিনিধিরা এসে পেঙ্গুইন যুগলকে ধরে সমুদ্রতটে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেন। সপ্তাহখানেক আগে স্থানীয় একটি রেলস্টেশনের কাছে একই ভাবে ঘুরপাক খেতে দেখা গিয়েছিল দু’টি পেঙ্গুইনকে। তারাই এই যুগল কি না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
‘করোরা’ নামের এই প্রজাতির পেঙ্গুইনের আধিক্য মূলত অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে। ওয়েলিংটন হারবারে এরাই পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। এখানে এদের দেখার জন্য ‘গাইডেড ট্যুর’ও চালানো হয়। তবে স্থানীয়দের অধিকাংশেরই বক্তব্য, দেখতে ভারী সুন্দর হলেও এদের দূর থেকে দেখাই ভালো। কারণ এই পেঙ্গুইন কামড়েও দেয়।