জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন শুনানির আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। আজ রবিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ জামিন শুনানির আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।এর আগে, হাইকোর্টের এ বেঞ্চ এই মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এ মামলায় ৭ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে গত বছর ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের এ বেঞ্চে আপিল করেন খালেদা জিয়া। সেই আপিলে বিচারিক আদালতের দেয়া ৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার এ আপিলে সাজার রায় বাতিল এবং মামলা থেকে খালাস চাওয়া হয়।
গত ২৯ অক্টোবর ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। মামলার বাকি সব আসামিকে একই সাজা দেয়া হয় এবং ট্রাস্টের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের ঘোষণা করেন আদালত। মামলার অন্যতম আসামি হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেয়া হয়।
রায়ে বলা হয়, সার্বিক সাক্ষ্য-প্রমাণে যা মনে হয়, প্রত্যেক আসামিই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অন্য আসামিরা হলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর সাবেক এপিএস জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার এপিএস মনিরুল ইসলাম খান।