সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে বাংলাদেশ দল। অনুশীলনের আগে সাংবাদিকদের মুমিনুল জানান, নিজের ত্রুটিগুলো খুঁজে পেয়েছেন এবং ত্রুটি কাটাতে কঠোর পরিশ্রম করছেন তিনি।
“আমার সমস্যাগুলো নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাই না। এগুলো নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে কাজ করছি, কোচও কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। যখন আমি উন্নতি করতে পারব, তখন আপনারাই বুঝতে পারবেন।”
মুমিনুল মনে করেন,
ওয়ানডেতে সময়টা ভালো যাচ্ছে না বলেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারছেন না। এর পেছনে মানসিক কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। বাজে সময় পেছনে ফেলতে কঠোর পরিশ্রম করাটা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
“একটু আক্রমণাত্মক থাকার চেষ্টা করেছি, ওয়ানডে যেভাবে খেলতে হয়। স্ট্রাইক রেটটা একটু বাড়িয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছি। অস্ট্রেলিয়ায় থাকার সময় কোচ আমাকে আগেও এটা বলেছিলেন।”
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ওয়ানডে আসরে পূর্বাঞ্চলকে নেতৃত্ব দেন মুমিনুল। প্রতিযোগিতার ফাইনালে খেলেন ৭৮ রানের চমৎকার এক ইনিংস। দলকে শিরোপা এনে দেওয়ার পর তিনি জানান, ওয়ানডে টুর্নামেন্টে ভালো খেলায় আত্মবিশ্বাস বেড়েছে তার।
“সব সময় ভাল ইনিংস খুব আত্মবিশ্বাস যোগায়। আমার কাছে এই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাস খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার মনে হয়, যদি একটু পরিশ্রম করি, সীমাবদ্ধতাগুলো নিয়ে যদি কাজ করতে পারি তাহলে হয়তো (ভালো করতে) পারব।”
১২ টেস্টে ৬৩.০৫ গড়ে ১ হাজার ১৯৮ রান করেছেন মুমিনুল। চারটি শতক ও সাতটি অর্ধশতক করেন তিনি। টেস্টে তার সর্বোচ্চ হল ১৮১ রান।
২৬টি ওয়ানডে খেলা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ২৩.৬০ গড়ে করেন ৫৪৩ রান। সর্বোচ্চ ৬০ রানসহ মাত্র তিনটি অর্ধশতক আসে তার ব্যাট থেকে।
টেস্ট ভালো খেলা কোনো ক্রিকেটারের ওয়ানডে সাফল্য না পাওয়াকে অস্বাভাবিক মনে করেন না মুমিনুল। তবে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান জানান, এই সংস্করণে ভালো করতে না পারায় খারাপই লাগে তার।
“আমি সব সময় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা করি।…আমার হয়তো একটু সময় লাগতে পারে। স্ট্রাইক রেটটা একটু বাড়াতে হতে পারে।”
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুটি ওয়ানডের জন্য ঘোষিত দলে আছেন মুমিনুল। অতিথিদের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য ঘোষিত বিসিবি একাদশেও আছেন তিনি। বুধবারের সেই ম্যাচ তার জন্য বড় একটা পরীক্ষাই হবে।