কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্স তানিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চালক ও হেলপারসহ ৯ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে জেলা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আল মামুনের আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সারোয়ার জাহান।
মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- স্বর্ণলতা বাসের চালক নুরুজ্জামান নুরু, হেলপার লালন মিয়া, বাস মালিক আল মামুন, রফিকুল ইসলাম রফিক, খোকন মিয়া, বকুল মিয়া, বোরহান উদ্দিন, আল আমিন ও স্বর্ণলতা বাসের এমডি পারভেজ সরকার পাভেল।
এদের মধ্যে তিনজন আসামি পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- বোরহান, আল আমিন ও স্বর্ণলতা বাসের এমডি পারভেজ সরকার পাভেল। এদিকে, এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, আসামিদের মধ্যে স্বর্ণলতা বাসের চালক নুরুজ্জামান, হেলপার লালন মিয়া ও চালকের খালাত ভাই বোরহান উদ্দিন সরাসরি ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত। বাকী ৬ আসামির বিরুদ্ধেও এ ঘটনায় সহযোগিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পলাতক বোরহান উদ্দিনসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ, চলতি বছরের ৬ মে ঢাকা থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন শাহিনুর আক্তার তানিয়া। তিনি কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুড়ি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে ও ঢাকার কল্যাণপুর এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের সিনিয়র নার্স ছিলেন। এ ব্যাপারে গত ৭ মে তানিয়ার বাবা মো. গিয়াসউদ্দিন বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।