কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মৃত কামধর মুন্সীর ছেলে আব্দুর রাশিদের গোয়াল ঘরে আগুন লেগে দুটি গরুর ভস্মীভূত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আব্দুর রাশিদ জানান, গরুগুলো মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিনের মতো গোয়াল ঘরে মশার কয়েল দেন তিনি। এ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, নাকি অন্য কারণে আগুন লেগেছে; তা বুঝতে পারছেন না।
তিনি বলেন, আগুনে একটি ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের ষাঁড় ও ৪৫ হাজার টাকার গাভী মারা গেছে। পাশাপাশি গোয়ালঘরটিও পুড়ে গেছে। সবমিলে অন্তত এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশিরা।
আব্দুর রাশিদ বলেন, আমি অন্যের জমিতে চাষাবাদ করে কোনও রকম স্ত্রী-পুত্র, পুত্রবধূ ও নাতি নাতনিদের নিয়ে জীবনযাপন করছি। গরুগুলো আগুনে পুড়ে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
এ বিষয়ে করিমগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান মোল্লা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সাথে সমবেদনা প্রকাশ করেন।
এসময় তিনি অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে প্রতিবেদক মোঃ আব্দুল জলিলকে বলেন, মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিনের মতো গোয়াল ঘরে মশার কয়েল দেন আব্দুর রাশিদ। এ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এতে করে আব্দুর রাশিদের লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান নির্ভর উল্লেখ করেন তিনি। এসময় আব্দুর রাশিদ আর্থিক সহযোগিতা চাইলে চেয়ারম্যান মহোদয় তাকে উপজেলা পরিষদ বরাবর লিখিত আবেদন দিতে বলেন।
প্রতিবেশি ধনু মিয়া জানান, বর্ষাচাষী রাশিদের গরুগুলো পুড়ে ভস্মীভূত হওয়ায় বড় ক্ষতি হয়ে গেল। এ অবস্থায় তার সহযোগিতা প্রয়োজন।