দেশের ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ ময়দান শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে মাঠের সব প্রস্তুতি। শোলাকিয়ায় ১৯২তম ঈদুল আজহার জামাত শুরু হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। এতে ইমামতি করবেন শহরের মারকাজ মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান।
দূরের মুসল্লিদের জন্য থাকছে দুটি বিশেষ ট্রেন। ঈদের জামাত নির্বিঘ্ন করতে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে র্যাব-পুলিশের পাশপাশি থাকছে দুই প্লাটুন বিজিবি।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, ঈদজামাত নির্বিঘ্ন করতে মাঠে তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ঈদজামাত চলার আগে থেকেই মাঠে ও আশপাশ এলাকায় ড্রোন উড়ানো হবে। প্রত্যেক মুসল্লিকে তল্লাশির মাধ্যমে মাঠে প্রবেশ করানো হবে। সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
মুসল্লিরা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদের জামাত আদায় করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, ঈদ জামাত আয়োজনের সার্বিক কাজ শেষ হয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে আগত মুসল্লিদের আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জবাসীসহ দেশের সবাইকে ঈদজামাতে অংশ নিতে আহ্বান জানান তিনি।
১৮২৮ সালে জেলা শহরের পূর্বপ্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ৭ একর জমির ওপর এ ঈদগাহ মাঠের গোড়াপত্তন হয়। ওই বছর ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেই ঈদের জামাতে মুসল্লির সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়া লাখ। এই সোয়া লাখ থেকেই উচ্চারণ বিবর্তনে বর্তমানে ‘শোলাকিয়া’ নামকরণ হয়েছে।