মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ ইসলাম শান্তির ধর্ম।উদারতার ধর্ম,সাম্যের ধর্ম,সহনশীলতার ধর্ম = ইসলাম ধর্মের নাম ব্যবহার করে অশান্তির আগুন জ্বালাচ্ছে এরা কারা?
কারা পেট্রোল বোমা মেরে নীরিহ মানুষ পুড়িয়ে মারছে? এরা ধর্মকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে। পাকিস্তানে এরা মসজিদে বোমা হামলা করে নীরিহ মুসুল্লী মারছে।
আফগানিস্তানে এরা ইসলাম কায়েম করার নামে খুন-খারাবি করছে।শরিয়া শাসন প্রতিষ্ঠার নামে এরা দেশে দেশে ত্রাস সৃষ্টি করছে।
জবরদস্তি করে এরা ইসলামি হুকুমাত কায়েম করতে চায়।কোরান এবং সুন্নাহ কি এরূপ জবরদস্তির নির্দেশনা দেয়?
কোরানে আছে “দ্বীনের ব্যপারে বাড়াবাড়ি করিও না”(সূরা বাকারা)।”হে কিতাবিগণ,তোমরা দ্বীন প্রতিষ্ঠায় জবরদস্তি করো না”(সূরা নীসা)।
পবিত্র কোরানের অনেক আয়াতে আছে ধৈর্য ও সহনশীলতার কথা। নবীজীর জীবন অনুসরনে দেখা যায় মুসলমানরা কোথাও কখনো উগ্র-উশৃঙ্খল ছিলেন না। নবীজী কখনোই আক্রমণাত্বক ছিলেন না।তিনি চরম ধৈর্যের সাথে সমস্ত আঘাত-আক্রমণ মোকাবেলা (জেহাদ) করেছেন এবং সফল হয়েছেন।
এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে তথাকথিত ইসলামী আন্দোলনের নামে যা হচ্ছে তা কি সত্যিকারের ইসলাম?
নাইজেরিয়ায় বোকো হারাম, সোমালিয়ায় আল শাবাব, ইরাকে আইএস, এরা অন্য ধর্মাবলম্বীদের কতল করে ইসলাম কায়েম করবে, শরিয়া শাসন কায়েম করবে, এরাই অন্য মুসলিম জনগোষ্ঠীকে কখনো মুরতাদ, কখনো নাস্তিক বানিয়ে উগ্র ধর্মান্ধতা ছড়িয়ে দেয়। কাফের,মুরতাদ,নাস্তিক আখ্যায়িত করে বোমা মেরে, আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে। আগুন দিয়ে মানুষ(ইনসানিয়াত) পোড়ানোর নাম কি ইসলাম?
আসুন উদারপন্থী মুসলমান ভাই ও বোনেরা,বিশ্বব্যাপী চলমান হিংস্র,উন্মাদ,উগ্র,ধর্মান্ধদের ভয়াবহ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/১৫-১২-২০১৫ইং/নিঝুম