কিশোরগঞ্জে একদিনে পৃথক ঘটনায় নারীসহ চারজন খুন হয়েছেন। বুধবার (২১ আগষ্ট) জেলার করিমগঞ্জ, মিঠামইন, পাকুন্দিয়া ও সদর উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে করিমগঞ্জে চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে একজন, মিঠামইনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির লোকজনের বল্লমের আঘাতে একজন, পাকুন্দিয়ায় ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই এবং কিশোরগঞ্জ সদরে মেয়ের জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন হয়েছেন। এছাড়া এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেকী গ্রামে ছোট ভাই শামসুল মুসলিমিন মতির (৫০) দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে খুন হয়েছেন বড় ভাই আলী আসগর মোস্তফা মুকুল (৬২)। নিহত আলী আসগর মোস্তফা মুকুল এবং ঘাতক শামসুল মুসলিমিন মতি চরটেকী গ্রামের মৃত হারুন অর রশীদের ছেলে। এ ঘটনায় ঘাতক মতিকে এলাকাবাসীর সহায়তায় আটক করেছে পুলিশ।
মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ভরা নয়াহাটি গ্রামে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জের ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির লোকজনের হামলায় বল্লমের আঘাতে শাহজাহান মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। নিহত শাহজাহান মিয়া ভরা নয়াহাটির মৃত ধন মিয়ার ছেলে।
পারিবারিক কলহের জেরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দানাপাটুলী ইউনিয়নের দানাপাটুলী পশ্চিম পাড়ায় মেয়ের জামাই হাবিবুল ইসলাম (২৫) এর ছুরিকাঘাতে হাতে শাশুড়ি মোছা. হালিমা খাতুন (৫০) খুন হয়েছেন। এ সময় শাশুড়ির কোলে থাকা ঘাতক জামাইয়ের তিন বছর বয়সী শিশু আনন্দ হোসেন বাবার ছোরার আঘাতে আহত হয়।
ঘটনার পর পরই স্থানীয় জনতার সহায়তায় পুলিশ ঘাতক মেয়ের জামাই হাবিবুল ইসলামকে আটক করে। ঘাতক হাবিবুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দানাপাটুলী ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের মৃত কালাম উদ্দিনের ছেলে।
করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুতারপাড়া গ্রামে ছোটদের খেলাকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে সুলাল মিয়া (৫২) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। এছাড়া আরো একজন আহত হয়েছে।
নিহত সুলাল মিয়া দক্ষিণ সুতারপাড়ার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ মূল অভিযুক্ত চাচাতো ভাই সবুজ মিয়াসহ ৬ জনকে আটক করেছে। সবুজ গ্রামের নজিম উদ্দিনের ছেলে।