muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

ঢাকায় পাকিস্তান হাই কমিশনের এক কূটনীতিকের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গিদের যোগসাজশ

pak-Fareena_Arshad
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ ঢাকায় পাকিস্তান হাই কমিশনের এক কূটনীতিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে তৎপর ইসলামী জঙ্গিদের সঙ্গে যোগসাজশের তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা।

এদিকে একই দেশের বংশোদ্ভূত ইউরোপীয় একটি দেশের দূতাবাসের কনিষ্ঠ এক কূটনীতিকের বিরুদ্ধেও বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে তৎপরতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি গোয়েন্দা পুলিশ কয়েকজন সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই তথ্য পায়।
আটক সন্দেহভাজনদের একজন এই তথ্য দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
পাকিস্তান হাই কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) পদে কর্মরত ওই কর্মকর্তার নাম ফারিনা আরশাদ।
জঙ্গিদের অর্থায়নে জড়িত সন্দেহে গত জানুয়ারিতে এ দূতাবাসেরই মাযহার খান নামের এক কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়।
গত ২৯ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা ও খিলগাঁও এলাকা থেকে ইদ্রিস শেখ নামের এক ব্যক্তিসহ চারজনকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি জানান, আটকদের মধ্যে ইদ্রিস ও মকবুলের কাছে পাকিস্তানি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে তাদের।
মনিরুল বলেন, ইদ্রিসের কাছে একটি ‘স্পাই মোবাইল’ পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে তিনি দেশের বাইরে একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং তথ্য আদান-প্রদান করতেন। একটি হাই কমিশনের এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গেও তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন।
মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদের কাছে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে ইদ্রিস ওই নারী কর্মকর্তাকে পাকিস্তান হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি ফারিনা আরশাদ হিসেবে চিহ্নিত করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা মনিরুল সেদিন বলেন, ইদ্রিস ১৯৮৫ সালে ভারত হয়ে পাকিস্তান যান। ১৯৯০ সালে পাকিস্তানি এক নারীকে বিয়ে করে সেখানেই বসবাস শুরু করেন।
পরে ২০০২ সালে সে দেশে ‘পাক-মুসলিম অ্যালায়েন্স’ নামে একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। ২০০৭ সালে বাংলাদেশে একাই ফেরত এসে জেএমবির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন।
“ইদ্রিস গত দুই বছরে ৪৮ বার পাকিস্তান গেছেন বলে তার পাসপোর্ট থেকে জানা গেছে,” বলেন মনিরুল।
ইদ্রিস শেখ জবানবন্দিতে যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে দেখা যায়, তার বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী থানায়। তার বাবার নাম মৃত কাওসার শেখ।
৪৯ বছর বয়য়ী ইদ্রিস নিজেকে ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন হাকিমের কাছে।
পাকিস্তানি কূটনীতিক ফারিনা আরশাদের সঙ্গে পরিচয়ের বিষয়ে ইদ্রিস বিচারককে বলেন, তিনি ২০০৭ সালে স্থায়ীভাবে ঢাকায় চলে এসে প্রথমে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। ২০১২ সালের পরে এয়ার টিকেটিং ও ভিসা প্রসেসিংয়ের ব্যবসার সময় বাবুল এবং পরে তার মাধ্যমে কামাল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কামাল তার কাছে নিজেকে ‘পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার লোক’ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন।

Tags: