সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলি নীতিমালা সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে। বদলি কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক করতে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বছরে তিন মাস নয়, বছরজুড়ে শিক্ষক বদলি করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, চলতি বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম নিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্ট হয়। নানা অনিয়ম, বদলি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, বদলির জন্য সরকারি-বেসরকারি নানা মহলের মনোনীত প্রার্থীদের বদলি করতে তদবিরে বিপাকে পড়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। নির্ধারিত তিন মাস শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম চালু থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এসব কারণে বদলি কার্যক্রম বছরজুড়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, বছরজুড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক বদলি করতে নতুন বদলি নীতিমালা সংশোধন কাজ শুরু হয়েছে। এ জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক করতে নতুন করে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। এ বছরের মধ্যে নীতিমালা ও সফটওয়্যারের কাজ শেষ হলে আগামী বছর থেকে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। এমন মাধ্যমে শিক্ষকরা যেকোনো সময়ে বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। যোগ্যতা ভিত্তিতে ঢাকাসহ সব জেলার প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের ডিপিই থেকে বদলি নির্দেশনা জারি করা হবে।
জানা গেছে, শিক্ষক বদলি নীতিমালায় শুধু নির্ধারিত তিন মাসভিত্তিক শিক্ষক বদলি বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ফলে বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া জানুয়ারি থেকে মার্চের পরে আর শিক্ষকদের বদলি করা হয় না। এ কারণে প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে বর্তমানে বদলি নীতিমালা পরিবর্তন করে সারা বছর শিক্ষক বদলি কার্যক্রম চালু হচ্ছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান চৌধুরী বলেন, শিক্ষক বদলি নীতিমালা সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক করতে একটি সফটও্যায়ার তৈরি করা হচ্ছে। এ জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে নীতিমালা সংশোধন ও সফটওয়্যার তৈরি কাজ শেষ করার কথা। এ সময়ের মধ্যে এসব কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হলে আগামী বছর থেকে সারা বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক বদলি করা হবে।
তিনি বলেন, বদলি কার্যক্রম আরও সহজীকরণ ও ভোগান্তিমুক্ত করতে এটি অনলাইনভিত্তিক করা হচ্ছে। শুধু তিন মাস বদলি কার্যক্রম চললে বদলি প্রত্যাশীরা ভিড় করেন। এর মাধ্যমে অনেকে বাণিজ্য করেন। এসব বন্ধে শিক্ষক বদলি কার্যক্রমে পরিবর্তন করা হচ্ছে।