সরকারি চাকরিজীবীদের বহুল প্রতীক্ষিত অষ্টম বেতন স্কেলের গেজেট আজ (মঙ্গলবার) যেকোনো সময় প্রকাশ হতে পারে।
আগামীকাল বুধবার মহান বিজয় দিবসে সরকারি ছুটি থাকায় পরের দিন বৃহস্পতিবার অষ্টম বেতন কাঠামোর প্রজ্ঞাপন সবার হাতে পৌঁছাবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সুত্রে এতথ্য জানা গেছে।
এদিকে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অর্থমন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন বিভাগ সব প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে আবুল মাল আবদুল মুহিত মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বেতন স্কেলের প্রজ্ঞাপন হবে বিশেষ উপহার।
অষ্টম বেতন কাঠামো ঘোষণার পর তা বাস্তবায়নে স্বার্থান্বেষী একটি মহল তাদের স্বার্থে নানা অজুহাতে বেতন কাঠামোর আদেশ জারিতে বিলম্ব করতে থাকে। এ অবস্থায় চাকরিজীবীরা প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কঠোর হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
সূত্র জানায়, ড. ফরাস উদ্দিনের নেতেৃত্বে গঠিত অষ্টম পে-কমিশন টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড তুলে দেওয়ার সুপারিশ করে। একইসঙ্গে কমিশন সরকারি চাকরিজীবীদের বর্তমান ২০টি গ্রেড থেকে কমিয়ে ১৬টি গ্রেড করার সুপারিশ করে। কিন্তু সচিব কমিটি পে-কমিশনের বেশ কিছু সুপারিশে সংশোধন আনে। এর মধ্যে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দেওয়ার সুপারিশ বহাল রাখলেও সচিব কমিটি পে-কমিশনের ১৬টি গ্রেডের সুপারিশের পরিবর্তে ২০টি গ্রেড বহাল রাখার সুপারিশ করে। চূড়ান্ত পর্যায়ে সেটাই বহাল রাখা হয়।
সূত্র জানায়, পে-কমিশন ও সচিব কমিটির সুপারিশের পরও কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ বিভিন্ন পেশাভিত্তিক সংগঠন টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখাসহ নানা ধরনের দাবি তুলে ধরে। বিশেষ করে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠনগুলো বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে। এরই ধারাবহিকতায় অর্থমন্ত্রীকে প্রধান করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত সাত সদস্যের মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করা হয়।
সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত পে-স্কেলে কর্মচারীদের ক্ষেত্রে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের বিকল্প প্রস্তাব ১০ বছর পর একটি এবং ১৫ বছর পর আর একটি গ্রেড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। অথচ কর্মকর্তাদের বেলায় ৩, ৪, ৫, ১০ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেতন স্কেল প্রবর্তন করা হবে। এমন সংবাদে সচিবালয়ের কর্মচারীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে কর্মচারীদের সংগঠনগুলো আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে।