যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে আজ সারাদেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে।
নানা আনুষ্ঠানিকতায় উদযাপিত এবারের ৪৪তম বিজয় দিবসে সর্বত্র জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রাম আর এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের এদিন বিকেলে রমনার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) হানাদার পাকিস্তানী সেনারা অস্ত্র সমর্পণ করে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিল বিজয়ী বীর বাঙালির সামনে। আর সেই সাথে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।
আজ ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দেশব্যাপী বিজয় দিবসের নানা কর্মসূচি শুরু হয়।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) জেলা প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাগণ জানান, সেসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকালে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা, কুচকাওয়াজ, শারীরিক কসরত প্রদর্শন এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদানসহ শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
তারা আরো জানান, জেলা শহরগুলোর বাড়ি, গাড়ি, প্রতিষ্ঠানে পতপত করে উড়ছে লাল-সবুজের পতাকা। মানুষের মাথায় পতাকার রঙের ফিতা আর গায়ে পোশাক। পতাকায় সজ্জিত বিভাগীয় শহরগুলোর প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ। দেশজুড়ে বিজয়ের এ উৎসবে সবার মনে বিপুল আনন্দ লক্ষ্য করা গেছে। কারণ বাংলাদেশের সবচেয়ে আনন্দের ও বড় প্রাপ্তির দিন যে আজ ১৬ ডিসেম্বর।
বরিশাল প্রতিনিধি জানান, শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি, বিজয় শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে মহানগরীতে উদ্যাপিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। রাত বারোটা এক মিনিটে পুলিশ লাইন্সে ৩১ বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে এ কর্মসূচির সূচনা হয়।
পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বপ্রথম শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার হয়। এরপর সকাল থেকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও আসে শ্রদ্ধা জানাতে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চীফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এমপি’র নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে জেলা আওয়ামী লীগ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তালুকদার মো: ইউনুছ এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা কর্নেল জাহিদ ফারুক শামিম, সৈয়দ আনিছ প্রমুখ।
স্মৃতি স্তম্ভে আরো শ্রদ্ধা জানায়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য, মহানগর আওয়ামী লীগ, সিটি কর্পোরেশন মেয়র, বিএনপি জেলা ও মহানগর, বাংলাদেশের কমিউিনিস্ট পার্টি, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন।
শ্রদ্ধাঞ্জলির পর নগর আওয়ামী লীগ সোহেল চত্বরের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে। পরে বিজয় র্যালি বের করা হয়। অনুরূপভাবে বিএনপিও অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে আলোচনা সভা শেষে বিজয় র্যালি বের করে। বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস। এখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
এদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে রিপোর্টার্স ইউনিটি সংগঠনের কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের চিত্র ও তথ্য প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা জানান, জেলার বিজয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। জেলা প্রশাসক মাহবুব হোসেন ও পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বিজয় দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পন করে।
পরে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনব্যাপী অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ, শরীরর্চচা প্রদর্শন, পুরস্কার বিতরণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, প্রীতি ফুটবল ও ক্রিকেট খেলা, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ আরো নানা আয়োজন। এসব কর্মসূচিতে সর্বস্তরের জনতা অংশগ্রহণ করেন।
যশোর সংবাদদাতা জানান, সারাদেশের মত যশোরবাসীও বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেছে। রাত ১২টা ১ মিনিটে ৩১ বার-তোপ ধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিশু-কিশোর সংগঠন দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচি পালন করে। এছাড়া স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন করে।
বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যশোর মনিহার প্রাঙ্গনে বীজয়স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণে মানুষের ঢল নামে। প্রগতিশীল সাহিত্যিক, সংস্কৃতিক কর্মী, রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মীসহ যশোরের বিভিন্ন স্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বীর সন্তানদের স্মরণে।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার, যশোর জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।
এছাড়া যশোর জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা বিএনপি, জাতীয় পার্টি, যুবলীগ, জেলা ছাত্রলীগ, জেলা যুবদল, জেলা ছাত্রদল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, যশোর প্রেসক্লাব, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, যশোর সাহিত্য পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধা জানায়।
সকাল ৮টায় যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, গালর্স গাইড, রোভার স্কাউট, পুলিশ, ভিডিপিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪৪টি দল কুচকাওয়াজে এবং ৩টি দল ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। পরে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিকেলে যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় প্রবীণদের হাটা প্রতিযোগিতা ও প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। এ ছাড়া বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে সিভিল সার্জন অফিসে বিনা মুল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। যশোর পৌরপার্কে দুঃস্থ ও প্রতিবন্ধী শিশুদের একটি জমায়েত হয়। বিকেলে যশোর এমএসটিপি বালিকা বিদ্যালয়ে মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া হাসপাতাল ও জেলখানায় উন্নত খাবার পরিবেশন করা।
গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে গোপালগঞ্জে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসের সূচনা লগ্নে রাত ১২টা ১ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে বঙ্গবন্ধু, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদ এবং ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শাহাদাৎবরণকারী সকল সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।
পরে সকাল ৬টায় তোপধ্বনি, সাড়ে ৬টায় শেখ কামাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন শহীদ স্মৃতি ফলকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। গোপালগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেয়। সকাল সাড়ে ৮টায় স্থানীয় শেখ কামাল স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ প্রদর্শনী হয়। বেলা ১১টায় সদর উপজেলা সংলগ্ন ’৭১ এর বধ্যভূমি শহীদ স্মৃতি স্তম্ভের পাদদেশে পুস্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা এবং শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে টি টুয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
গোপালগঞ্জ শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের নেতৃত্বে রাত ১২টা ১ মিনিটে টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার মাজারে, সকাল সাড়ে ৮টায় শেখ কামাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে এবং সকাল ৯টায় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়াতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইংরেজি বিভাগের সভাপতি মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর ড. মোছাঃ হালিমা খাতুন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রকৌশলী মোঃ আমিনুর রহমান, এপিইসিই বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল আসাদ প্রমুখ।
পঞ্জগড় সংবাদদাতা জানান, জেলার বিলুপ্ত ৩৬টি ছিটমহলের নতুন বাংলাদেশী নাগরিকরা স্বাধীনতার ৪৪তম বার্ষিকীতে প্রথমবারের মত আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে মহান বিজয় দিবস পালন করেছে।
এ উপলক্ষে সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার জেমজুট এলাকার বিলুপ্ত ৫৯ নং পুঠিমারী ছিটমহলে নতুন বাংলাদেশী নাগরিকরা এবারই প্রথম একসঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে।
এ সময় পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের জেমজুট এলাকায় নারী, পুরুষ ও শিশুরা লাল সবুজ পতাকা হাতে নিয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশী বাংলাদেশী বলে আনন্দ মিছিল করে।
এতে বিলুপ্ত ৫৯নং পুঠিমারী ছিটমহলের সাবেক চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দীনসহ নতুন বাংলাদেশী ও সর্বস্তরের মানুষ আনন্দ মিছিলে অংশ নেয়।
আনন্দ মিছিল শেষে অস্থায়ী ভাবে কলাগাছ দিয়ে তৈরি কাগজে মোড়ানো স্মৃতি সৌধ বানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
অনুরূপ কর্মসূচির মাধ্যমে লক্ষ্মীপুর, মুন্সীগঞ্জ, পাবনা, বাগেরহাট, নড়াইল, সাভার, ধামরাই, ফরিদপুর, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন জেলায় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।