দেশি-বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের মোড়কের ভেতরে পাওয়া গেলো নকল কয়েল। ‘বাইরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট’ -প্রবাদকে আনুসরণ করে ব্যবসা ফেঁদে বসা এসব মশার কয়েল উৎপাদন কারখানায় বিকিকিনিও বেশ জমজমাট।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের তাতারকান্দি ও লক্ষ্মীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর টিমের সদস্যরা হতবাক হয়েছেন এমন জঘন্য অপকর্ম দেখে। অভিযানে লাখ লাখ টাকার অবৈধ ও নকল মশার কয়েল জব্দ করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠকে জানান, ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাবের সুযোগ নিয়ে ভৈরবে একাধিক কারখানায় নকল মশার কয়েল তৈরির খবর পেয়ে অভিযান শুরু হয়। অভিযানের পর দুঃখজনক চিত্র বেরিয়ে এসেছে।
আশাফ উদ্দিন কেমিক্যাল ওয়ার্কস নামের ওই কারখানায় প্রতিষ্ঠানটি কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই দেশি-বিদেশি ৭/৮ ব্র্যান্ডের নকল কয়েল উৎপাদন করছিল।
এই অপরাধে দুই লক্ষ টাকা জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সজীব কনজুমার প্রডাক্টকে অনুমোদন না নিয়ে বিএসটিআই এর লোগো ব্যবহার করে ভোক্তাদের প্রতারণা করার অপরাধে ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
অধিদপ্তরের কিশোরগঞ্জ জেলার সহকারী-পরিচালক ইব্রাহিম হোসেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সেনেটারি ইন্সপেক্টর নাসিমা বেগম ও বাংলাদেশ মসকুইটো কয়েল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল হামিদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করছেন।