মনে হচ্ছিল দিনটা বাংলাদেশের হবে। টস থেকে শুরু করে ভারতীয় ইনিংস পর্যন্ত সব ছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের পক্ষে। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক ভারতীয় অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ৯ উইকেটে ১৯২ রানেই আটকে দিয়েছিল যুবারা।
জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ৫০ ওভারে মাত্র ১৯৩ রানের। কিন্তু এই লক্ষ্যও তাড়া করতে পারলেন সাইফ হাসান, আরিফুল হক, ইয়াসির আলী, মেহেদী হাসান মিরাজরা। লখনৌ এর ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারি বাজপায়ি একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল হেরেছে ৩৪ রানে।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যে ৪৬ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। তবে সফরকারি দলের ভাগ্যও পক্ষে ছিল না। ষষ্ঠ উইকেটে জাকির হাসান আর আরিফুল হক মিলে বিপদ কাটিয়ে উঠেছিলেন। দলও দেখছিল জয়ের স্বপ্ন।
কিন্তু ৬৭ বলে ২ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৪৮ রান করে জাকির আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। পরে আর ব্যাটিংয়েই নামতে পারেননি। সতীর্থ হারানোর পর আরিফুল হকও ৩৮ রানে আউট হয়ে যান। মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ২০।
এর আগে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের অধিনায়ক সাইফ হাসান। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত কাজে লাগাতে কোনো ভুল করেননি দলের বোলাররা।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই যশভি জয়সওয়ালকে সাজঘরে পাঠান আবু হায়দার রনি। এরপর আর তেমনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ভারত। উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। সবার ব্যর্থতার ভিড়ে ব্যাট হাতে একা লড়াই করেছেন আরিয়ান জুয়াল। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৬৯ রান করেন তিনি।
এছাড়া উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শরতের ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১০ ওভারে মাত্র ২৯ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন অধিনায়ক সাইফ হাসান ও আবু হায়দার রনি। অন্য দুই উইকেটে নাম লেখান শফিকুল ইসলাম ও রবিউল হক।