কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সরকারের পরিবেশ ছাড়পত্র বিহীন অবৈধ সিগারেট তৈরির কারখানার সন্ধ্যান পাওয়া গেছে। তারা ইন্টারন্যাশনাল টোবাকো নামের অবৈধ প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের সম্ভুপুর এলাকার টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন ভৈরব-ময়মনসিংহ সড়কের পশ্চিম পাশে কারখানাটি অবস্থিত।
জানা গেছে, কোম্পানিটি নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিপুল অংকের শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে।
কিশোরগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকোকে পরিবেশ ছাড়পত্র নেয়ার চিঠি দেয়া হলেও তা আমলে নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই তারা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অবৈধ সিগারেট উৎপাদন করে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর চিঠি দিলেও এ ব্যাপারে কর্ণপাত করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
এ ব্যাপারে বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট ও উপরিউক্ত চিঠি ইস্যুকারী কাজী সুমনের সাথে কথা বলে জানা যায়, কারন দর্শানোর নোটিশের জবাব না দেয়ায় তারা টোব্যাকোর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রয়োজনে দ্বিতীয় চিঠি দেয়া হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কারখানাটির প্রধান গেইট সবসময় বন্ধ থাকে। চারিদিকে দেয়াল উপরে টিনের চালা দিয়ে তৈরি ঘরে কারখানার মেশিনপত্র রয়েছে। ভিতরে গোপনে সিগারেট উৎপাদন হয়।
এখানকার নিরাপত্তাকর্মী আলাউদ্দিন জানান, প্রতিদিন বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেট কারখানায় উৎপাদন হয়। উৎপাদিত সিগারেট গভীর রাতে মিনি ট্রাক দিয়ে দেশের বিভন্ন এলাকায় পাঠানো হয়। কারখানার জায়গার মালিক ভৈরব উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ গিয়াস উদ্দিন। তিনিও কারখানাতে পার্টনার আছেন। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের নথিতে উল্লেখ আছে মোঃ আব্দুস সবুর লিটন ও মোঃ ওমর ফারুক সিদ্দীকি নামে দুজন এই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী।
দীর্ঘদিন যাবত কারখানায় গোপনে নকল ব্যান্ডরোল তৈরি করে নিম্নমানের অবৈধ সিগারেট উৎপাদন হচ্ছে। এ ব্যাপারে মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘ অতি নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে।’ কারখানার মূল মালিকের বাড়ি চট্টগ্রাম বললেও তাঁর নাম ঠিকানা কিছুনই জানাননি গিয়াস উদ্দিন। কারখানার বৈধ লাইসেন্স ও যাবতীয় কাগজপত্র আছে দাবি করলেও কি কি ব্র্যান্ডের সিগারেট উৎপাদন হয় তাও জানাননি তিনি।