মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন মার্কিন তরুণী পলিন শুমেকার। ছিলেন নয় মাস। জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র ঈদের অনুষ্ঠানে একটি পর্বে অংশও নিয়েছিলেন তিনি।
শাড়ি পরে দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। সেই ছবি আমেরিকান দূতাবাসের ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত হয়েছিল। সেই ছবিটি তোলা হয়েছিল ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বরে। ইতোমধ্যে এই ছবিটি নিয়ে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়িয়ে পড়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নামসর্বস্ব অনলাইন পোর্টালগুলো টুকে নিতে সময় নেয় নি। বিভিন্ন শিরোনামে খবরও প্রকাশ করে। সম্প্রতি বিষয়টি ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের নজরে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পক্ষ থেকে ঘটনাটিক ভূয়া হিসেবে উল্লেখ করে সতর্ক করা হয়েছে। একই সাথে ওইসকল সংবাদ মাধ্যমকে সংবাদ সম্পর্কে সত্যতা যাচাই করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
,এর আগে যখন ছবিটি ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস শেয়ার করে তখন স্পষ্টতই লেখা ছিল, ‘আমেরিকান ফুল ব্রাইট শিক্ষার্থী পলিন শুমেকার তার নয় মাস বাংলাদেশে অবস্থানকালে এ দেশের সংস্কৃতি ও মানুষের সংস্পর্শে আসেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের একটি গ্রামে শাড়ি পরে তিনি রিকশা ভ্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
এই ছবিটি ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বাংলাদেশি রিকশা চালকের সততায় মুগ্ধ হয়ে তাকে বিয়ে করলেন মার্কিন তরুণী ব্রাউন।’ শিরোনামে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়িয়ে পড়ে। যা মার্কিন দূতাবাসের নজরে আসে। আজ রবিবার রাতে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের অফিসিয়াল ফ্যান পেইজে এইসব বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ থেকে ওইসকল গণমাধ্যমকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়। একই সাথে নৈতিকতার জায়গা থেকে সংবাদ পরিবেশনে সচেষ্ট থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।