সোমবার সকাল থেকেই গুঞ্জন ছিল মিরপুরে। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত আসতে পারে ক্রিকেটারদের কাছ থেকে। হয়েছেও তাই। ১১টি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ক্রিকেটাররা।
এর মধ্যে জাতীয় দলের ক্যাম্প থেকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও অন্তর্ভুক্ত। অবশ্য বয়সভিত্তিক ক্রিকেট এর আওতায় এখনও আসেনি। আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি হয়ে সাকিব নিজেই এ কথা জানিয়েছেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে। এর ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের ভারত সফর। এ সময় মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবালসহ জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররা উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররাও উপস্থিত ছিলেন।
বিপিএলই এই আন্দোলনকে উস্কে দিয়েছে। গত মাসে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক মডেল থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় বিসিবি। নিজেদের আয়োজনে সবকিছু করবে এমন সিদ্ধান্ত আসায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ক্রিকেটাররা। কমে যেতে পারে উপার্জন। এমনকি এই মাসে শুরু হওয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ম্যাচ ফি না বাড়াতে বিসিবির ওপর আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছেন তারা।
চলতি জাতীয় লিগে আশ্বাস দিয়েও বাড়ানো হয়নি এই ম্যাচ ফি। আগের মতোই প্রথম স্তরের ম্যাচ ফি ৩৫ হাজার ও দ্বিতীয় স্তরের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি রাখা হয়েছে ২৫ হাজার। এ নিয়ে বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার এর আগেও অসন্তোষের কথা জানিয়েছিলেন। এছাড়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দল বদল চেয়েছিলেন ক্রিকেটাররা।
বেশ কয়েকমাস ধরেই পেশাদার ক্রিকেটাররা তাদের উদ্বিগ্নের বিষয়টি জানিয়ে আসছিলেন। সবশেষ সাকিব আল হাসান নিজেই একটি গণমাধ্যমে বলেছিলেন, ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে দমনমূলক নীতিতে চলা হচ্ছে। তাদের আরও ভালোভাবে দেখভাল করা উচিত। আরও মন্তব্য করেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটে দীর্ঘমেয়াদি কোনও পরিকল্পনা নেই।