muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার দেড় কোটি টাকা!

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার রেকর্ড পরিমাণ ১ কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়াও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ সোনা, রূপা ও বৈদেশিক মুদ্রা।

এ মসজিদের দানবাক্স থেকে এ পর্যন্ত এটিই সর্বাধিক পরিমাণ টাকা পাওয়ার রেকর্ড। এর আগে পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

তিন মাস ১০ দিন পর শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। পরে বিকেলে দিনব্যাপী গণনা শেষে দানের এ হিসাব পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মীর মো. আল কামাহ তমাল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান, উবাইদুর রহমান সাহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা ও রূপালী ব্যংকের এজিএম অনুফ কুমার ভদ্র প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।

এর আগে গত ১৩ জুলাই পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে গণনা করে ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।

তিনতলা ও তিন গম্বুজবিশিষ্ট পাগলা মসজিদের সুউচ্চ মিনার বহুদূর থেকে নজরে আসে। এ ছাড়া একটি এতিমখানা ও হাফেজি মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত আছে। সম্প্রতি কমপ্লেক্সের জায়গায় একটি কবরস্থান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন। দানবাক্সে পাওয়া টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদ্রাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়ে থাকে।

Tags: