সকল রোগ মুক্তির জন্য পানি ও তেলের বোতল নিয়ে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ভক্ত অপেক্ষা করছেন কবিরাজের জন্য। কবিরাজ নাকি আজ পানি পড়া, তেল পড়া দিবেন। তাই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর মঞ্চে আসলেন কবিরাজ সবুজ মিয়া। ভক্তরা উঁচিয়ে ধরলেন পানি ও তেলের বোতাল। অবশেষে মাইকে ফুঁ দিলেন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের চরপলাশ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সকাল থেকে নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে ভরে ওঠে বিশাল মাঠ। কাঠুরিয়া কবিরাজ সবুজ মিয়া আসবেন বলে মাঠে মঞ্চও তৈরি করা হয়। ওই কবিরাজের বাড়ি ভালুকা উপজেলার রাজ্য ইউপির পায়লাবের গ্রামে। তিনি বনে কাঠ কেটে জীবিকা নির্বাহ করেন।
মঞ্চে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণু ও সুখিয়া ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ টিটু উপস্থিত ছিলেন।
কাঠুরিয়া কবিরাজ ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি মাইকে ফুঁ দেব, আর মাইকে আমার ফুঁয়ের আওয়াজ যে পর্যন্ত যাবে, সে পর্যন্ত তেল-পানির বোতলে ফুঁ কাজ করবে’।
এরপর কাঠুরিয়া কবিরাজ মাইকে ফুঁ দিলেন। আর চারপাশে অবস্থান নেয়া হাজার হাজার নারী-পুরুষ তেল-পানির বোতল উঁচিয়ে ধরলেন। রোগবালাই মুসিবত দূর এবং মনোবাসনা পূরণের আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরলেন নর-নারীরা।
জানতে চাইলে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণু বলেন, কিছু ভক্তের অনুরোধে এখানে কাঠুরিয়া কবিরাজ উপস্থিত হয়েছেন। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এখানে এসেছি আমি।
পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের ওসি মো. মফিজুর রহমান বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে দ্রুততম সময়ে এ আয়োজন শেষ করা হয়েছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি।
এ ব্যাপারে দেশের সর্ববৃহৎ শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের সাবেক ইমাম কিশোরগঞ্জ শহরের বড়বাজার জামে মসজিদের খতিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের গবেষক মুফতি মাওলানা এ কে এম সাইফুল্লাহ বলেন, এভাবে মাইকে ফুঁ দেয়া প্রতারণা ও শিরকের শামিল।