ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে পটুয়াখালীতে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি জানান, সরকারি হিসাবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে দুজন নিহত ও আহত হয়েছেন ৩০ জন। এ ছাড়া ঝড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর তাণ্ডবে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী দুজনের মৃত্যুর কথা জানালেও পটুয়াখালী, খুলনা ও বরগুনায় নারীসহ চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের তিনজন ঘর ও গাছচাপায় এবং আরেকজন আশ্রয়কেন্দ্রে মারা গেছেন। আজ রোববার ভোর রাত ও সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের উত্তর রামপুরা গ্রামের হামেদ ফকির (৬০), খুলনার দাকোপ উপজেলার দক্ষিণ দাকোপ গ্রামের সুভাষ মণ্ডলের স্ত্রী প্রমিলা মণ্ডল (৫২), খুলনার সেনহাটির আলমগীর হোসেন (৩৫) ও বরগুনা সদর উপজেলার হালিমা খাতুন (৬৫)।
এনামুর রহমান আরও বলেন, ‘উপকূলীয় ১৪ জেলায় ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়ে আগাম ব্যবস্থা নিয়েছিল সরকার। এখন পর্যন্ত খুলনা ও পটুয়াখালীতে দুই জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে সরকার। বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে পরবর্তী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, এখন পর্যন্ত বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পটুয়াখালীতে। সেখানে ঘড়-বাড়ি আংশিক ভেঙেছে ৮৫টি। পানি প্রবাহিত হচ্ছে বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে।