দুই দেশের সেনাবাহিনীর সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে আগামী মাসে মিয়ানমার সফরে গিয়ে সেনা বাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
সেনা প্রধান বলেন, ‘‘সেনাবাহিনী সব সময় দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করে। সরকারের যে পলিসি থাকে, তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও আমাদের কাজ। তাই দুই দেশের সামরিক বাহিনীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও কথা হবে।’’
বুধবার সকালে যশোর ক্যান্টনমেন্টের সিগন্যাল ট্রেনিং সেন্টার এন্ড স্কুল প্রাইভেট গ্রাউন্ডে পাঁচটি ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘‘বর্তমানে সেনাবাহিনী উন্নয়নের পাশাপাশি দেশে গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের অবদান অনস্বীকার্য। পদ্মা বহুমুখী সেতু এবং হাতিরঝিল প্রকল্পসহ জাতীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এই কোরের সদস্যরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।’’
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে আজ প্রথমবারের মতো কোনো সিগন্যাল ইউনিট রেজিমেন্টাল কালার অর্জন করলো, যা ১ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন তথা কোর অব সিগন্যালসের ইতিহাসে গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা করলো।’’
তিনি বলেন, ‘‘একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তনের পাশাপাশি আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’’
সেনা প্রধান বলেন, ‘‘বর্তমান আধুনিকায়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কোর অব সিগন্যাল উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তা এবং কৌশলগত প্রয়োজনে সামরিক বাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থাসমূহের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি নিজস্ব টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সাহায্যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আধুনিকায়নে এবং দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে যোগাযোগ স্থাপনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের টেলিযোগাযোগের মান উন্নয়নে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশন সিস্টেম স্থাপনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’’
অনুষ্ঠানে প্রাক্তন সেনা প্রধানরা, কোর অব আর্টিলারি, ইঞ্জিনিয়ার্স ও সিগন্যালে চাকরিরত এবং অবসরপ্রাপ্ত ঊধ্র্বতন সেনাকর্মকর্তারা, সেনাসদর ও বিভিন্ন ফরমেশনের ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তারা এবং সামরিক প্রশাসনের আমন্ত্রিত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।