কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে হাতি দিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে। জোর করে এসব টাকা আদায়ের নামে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পথচারী ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা। হাতি দিয়ে গাড়ি থামিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ও গ্রামে ঢুকে হাতি দিয়ে অভিনব কায়দায় টাকা আদায়ে নামে চলছে এ চাঁদাবাজি।
গত বুধবার থেকে শুরু করে শুক্রবার পর্যন্ত তিন দিনে পিতলগঞ্জ বাজার, হোসেনপুর নতুন বাজার, আড়াইবাড়ীয়া, কলেজ রোড, কুড়িঘাট মোড় ও বিভিন্ন সড়কে হাতি দিয়ে টাকা আদায়ের চাঁদাবাজির এ দৃশ্য সবার নজরে পড়ে।
জানা গেছে, বড় আকৃতির একটি হাতি। পিঠে বসে আছে ২৪ বছর বয়সের দুই যুবক। একজন হাতির মালিক অন্যজন কর্মচারী। রাস্তাায় চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি মালিককে পিঠে নিয়ে হেলে দুলে রাস্তার এপাশ ওপাশ দিয়ে চলছে হাতি। রাস্তার পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দোকান মালিককে সুঁড় উঁচু করে জানাচ্ছে সালাম। দোকান মালিকদের কেউ ১০ টাকার কম দিলে ওই টাকা না নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে হাতি। আর ১০ থেকে ২০ টাকা করে টাকা দিলে হাতি সুঁড় দিয়ে নিয়ে হাতির মালিককে দিচ্ছে।
অটোরিক্সা ডাইভার জাহেদুল জানান, মাঝ রাস্তায় হাতি শুঁড় দিয়ে গাড়ি থামার সংকেত দিয়ে টাকা দেওয়ার জন্য চেপে ধরছে। ১০ টাকার কম দিলে তা গ্রহণ করছে না। ১০ টাকা দিলে হাতিটি পিঠে বসে থাকা মালিককে শুঁড় উঁচিয়ে টাকা দিয়ে দেয়।
হোসেনপুর কলেজ সড়কের কাপড়ের দোকানদার মো.জাহাঙ্গীর আলম জানান, হাতি দোকানের সামনে এসে দাঁড়ালে ক্রেতারা ভয়ে দোকানে ঢুকতে সাহস পান না। বিড়ম্বনা এড়াতে দোকান মালিকরা বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে দেয়। যাতে হাতি তাড়াতাড়ি দোকানের সামনে থেকে চলে যায়।