রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ আগামি ২৭ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম সারওয়ার খান (জাকির) বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে।’
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। এজন্য তারা খালাস পাবেন।
এদিন যুক্তি উপস্থাপনকালে আসামি মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন, শফিকুল ইসলাম ওরফে খালেদ, হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী ও হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
মামলাটিতে ১১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়ার পর গত ৩০ অক্টোবর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি হয়। ওইদিন আট আসামিই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বেকসুর খালাস প্রার্থণা করেন।
২০১৬ সালে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা করে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে। এ সময় অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন খান নিহত হন। সন্ত্রাসীরা রাতের বিভিন্ন সময়ে জিম্মি অবস্থায় থাকা তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে। ওই ঘটনায় ২০১৬ সালের ৪ জুলাই নিহত ৫ জঙ্গিসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে গুলশান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
গত বছরের ২৩ জুলাই হুমায়ূন কবির আট জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। গত ২৬ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।