ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মনিরুল ইসলাম বলেছেন, উগ্রবাদ তথা সন্ত্রাসবাদ শুধুমাত্র সরকারের শত্রু নয়, সন্ত্রাসবাদ দেশের শত্রু, মানুষের শত্রু, মানবতার শত্রু, সব ধর্মের শত্রু। এদের প্রতিরোধ করতে না পারলে উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে তা এগিয়ে নেওয়া যাবে না।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে ‘উগ্রবাদ প্রতিরোধে গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এ সেমিনারের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, এক হলি আর্টিসানের এটাক বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একটি বড় ধাক্কা মেরেছে, সেই জায়গাটা আমরা এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠতে পারিনি। এখনো বিদেশীরা কোন কোন রেস্টুরেন্টে যেতে ভয় পায়। আরেকটি হলি আর্টিসান বা এ ধরনের কোন এটাক আমরা এফোর্ড করতে পারব না। কাজেই তেমনটি হতে দেয়া যাবে না। আমাদের প্রতিরোধের দিকে মনোযোগী হতে হবে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, যে সন্ত্রাসী হয়ে গেছে, তাকে হয়তো ধরতে পারবো, সাজা দিতে পারব। কিন্তু যে এখনও সন্ত্রাসী হয়ে ওঠতে পারেনি, তাকে আমাদের সেই পথ থেকে ফেরাতে হবে। আমরা চাই কেউ যেন উগ্রবাদে না জড়ায়। এই পরিবেশটাই আমাদের সৃষ্টি করতে হবে।
আর এক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা সবচেয়ে আগে। পরিবারসহ সমাজের সব শ্রেণিপেশার মানুষ, গণমাধ্যমকর্মী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে উগ্রবাদ প্রতিরোধে সোচ্চার হতে হবে। তাহলেই আমরা একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সক্ষম হবো।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে পুলিশ সুপার (এসপি) মাশরুকুর রহমান খালেদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
এসময় নরসিংদীর পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমএ আফজল, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ আল মামুন খান, জিপি বিজয় শঙ্কর রায়, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।