প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় শিশুদের বহিষ্কার করা কেন অবৈধ ঘোষাণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বহিষ্কার হওয়া শিশুদের পুনরায় পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত শৃঙ্খলা ভঙ্গবিষয়ক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গত বছরের জারি করা নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদ কেন অবৈধ হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
‘পিইসি পরীক্ষায় শিশু বহিষ্কার কেন’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে এনে এ বিষয়ক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চান সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এ এম জামিউল হক। শুনানি নিয়ে আদালত ওই রুল দেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালত ১০ ডিসেম্বর পরবর্তী আদেশের তারিখ ধার্য করেছেন।
গত তিন দিন আগে পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গত রবিবার থেকে শুরু হওয়ার পর সোমবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১৫ শিশু বহিষ্কার হয়েছে। পরীক্ষায় অসাধুপন্থা অবলম্বন করার অভিযোগে এসব শিশুকে বহিষ্কার করা হয়। এ বিষয়ে নির্দেশনাও রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের।
তবে শিক্ষাবিদ, মনোবিজ্ঞানী, শিক্ষক এমনকি অভিভাবকরা বলছেন, কোমলমতি শিশুদের এ ধরনের বহিষ্কার তাদের ওপর এক ধরনের মানসিক নির্যাতন। যারা পরীক্ষা কিংবা নকল করার বিষয়টিই এখনো ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এ বিষয়ে নির্দেশনা আছে। নির্দেশনার ১১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে উত্তরপত্র ছাড়া কিছুতে লিখে আনলে ও অন্যকে দেখানোয় সহযোগিতা করলে বহিষ্কারের সুযোগ রয়েছে।