গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় ৭ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় ঘোষণা করেন।
গত ১৯ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করা হয়।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খান, তার ব্যক্তিগত সহকারী শামসুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান, কাজের লোক মেহেদী, শাহীন, রানা ও চন্দন। চন্দন বাদে বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।
এ মামলার আরেক আসামি সুবল চন্দ্র আগেই মারা গেছেন।
এর আগে গত ১১ জুন লিটন হত্যার ঘটনায় দায়ের অস্ত্র মামলায় একমাত্র আসামি কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ মাস্টারপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে কয়েকজন দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন লিটন। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাতেই মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় পরদিন ১ জানুয়ারি লিটনের ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ৪-৫ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।