ঢাকা থেকে অপহরণকৃত রাসেল মিয়া (২৫) নামের এক যুববকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় ভৈরবের সেতুর নিচ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বাহেলা এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার ভোর রাতে অজ্ঞাত কিছু লোক একটি মাইক্রোবাস করে সেতুর উপর থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ফেলে দেয় বলে জানায় ভিকটিম রাসেল মিয়া। পরে চিৎকার শুনে পথচারীরা দৌড়ে আসলে তাকে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা। পরে তাকে উদ্ধার করে থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি আরো জানায়, ২০ -২৫ দিন আগে একই এলাকার তার এক বন্ধু কাদির মিয়া তার নিকট থেকে টাকা ধার নিয়েছিলো। সেই পাওনা টাকা ফেরত দিতে চাপ দেয় তার বন্ধু এক পর্যায়ে ভিকটিক রাসেল পাওনাদার বন্ধুকে টাকা নিতে তার ঢাকায় নিজ বাসায় আসতে বলে কাদিরকে কথামত সাথে আরেক বন্ধুকে নিয়ে ঢাকার কাশিমপুর ভাড়া বাসায় আসেন।
আসার পর ভিকটিম রাসেল পাওনাদার দুই বন্ধুকে বাসায় আটক করে রাখে যখন তারা বুঝতে পারলো তার বন্ধু তাদের আটক করে রেখেছে তখনই গোপনে ঢাকার স্থানীয় কিছু লোকদের সহযোগিতায় উল্টো তাকে গতকাল রাত ১১টায় দিকে তার নিজ বাসা থেকে হাত পা বেঁধে একটি মাইক্রোবাস করে ভৈরবের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর উপর থেকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মেঘনা নদীতে ফেলতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো এমন সময় ভিকটিমের চিৎকার শুনে পথচারীরা দৌড়ে আসলে তাৎক্ষণিক হাত পা বাধা অবস্থায় রেখে তারা পালিয়ে যায় বলে জানায় তিনি। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ভিকটিম রাসেলকে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল আলম খান জানায়, হাত পা বাঁধা অবস্থায় রাসেল নামের এক যুববকে উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাস করে ভৈরবের সেতুতে নিয়ে এসেছিলো বলে জানায় ভিকটিম। এই বিষয়ে ভিকটিম যদি অভিযোগ দায়ের করে তাহলে দোষীদের দ্রুত খোঁজে বের করা হবে বলে জানায় তিনি।