রক্ত দিয়েই কি মানুষ চেনা যায়? আপনার উত্তর নিশ্চয় না হবে। বলবেন এ রকম আবার হয় না কি! আমি যদি বলি হ্যাঁ! রক্ত দিয়েই মানুষ চেনা যায়। এক জনের ব্লাড গ্রুপ দেখে প্রাথমিক ভাবে বলে দেওয়া যাবে মানুষটি আসলে কেমন। খিটখিটে, সংবেদনশীল না কি বদমেজাজি। রীতিমতো রিসার্চ করেই মানুষ চেনার এই তথ্য উঠে এসেছে।
‘এ’- গ্রুপের রক্ত
এই গ্রুপের রক্তে শুধুমাত্র ‘এ’ অ্যান্টিজেন এবং ‘বি’ অ্যান্টিবডি রয়েছে। এই গ্রুপের রক্তের মানুষেরা ‘এ’ এবং ‘এবি’ গ্রুপকে রক্ত দিতে পারবেন।
পার্সোনালিটি কেমন?
সংবেদনশীল এবং সৃজনশীল ব্যক্তি। যে কোনও ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে পিছপা হন না এরা। সঙ্গে অত্যন্ত ধৈর্যশীল হয়ে থাকেন।
‘বি’- গ্রুপের রক্ত
এই গ্রুপের রক্তে শুধুমাত্র ‘বি’ অ্যান্টিজেন এবং ‘এ’ অ্যান্টিবডি রয়েছে। এই গ্রুপের রক্তের মানুষেরা ‘বি’ এবং ‘এবি’ গ্রুপকে রক্ত দিতে পারবেন।
পার্সোনালিটি কেমন?
এই গ্রুপের রক্তের মানুষেরা এক দিকে যেমন খুব সক্রিয় স্বভাবের তেমনই মানসিক ভাবেও তাঁরা খুব দৃঢ় এবং সৃজনশীল। তবে অন্য দিকে তারা স্বার্থপর এবং এক ঘেয়ে স্বভাবের মানুষ। এঁরা সাধারণত দায়িত্ব এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করেন এবং পুরনো কথা ভুলে গিয়ে সহজে কাউকে ক্ষমা করতে পারেন না।
পড়ুন: এক ফোঁটা রক্তেই এ বার ধরা পড়বে ক্যান্সার
‘এবি’- গ্রুপের রক্ত
এই ক্ষেত্রে ‘এ’ এবং ‘বি’ উভয় প্রকারই অ্যান্টিজেন থাকে। কোনও প্রকার অ্যান্টিবডি থাকে না। সে কারণে ‘এবি’ পজিটিভ গ্রুপের রক্তের মানুষ সর্বজনীন গ্রহীতা।
পার্সোনালিটি কেমন?
শান্ত স্বভাবের। খুব সহজেই যে কোনও পরিস্থিতিতে মানিয়ে চলতে পারেন এবং তাঁরা সাধারণত যুক্তিবাদী। যে কোনও বিষয় যুক্তি দিয়ে তাঁরা বুঝে থাকেন। তবে ‘বি’ গ্রুপের মতো এঁরাও দায়িত্ব এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করেন।
‘ও’-গ্রুপের রক্ত
‘ও’ গ্রুপের ক্ষেত্রে ‘এ’ এবং ‘বি’ অ্যান্টিজেন কোনওটাই থাকে না। কিন্তু দু’প্রকার অ্যান্টিবডিই থাকে। যে কারণে এই গ্রুপের লোকেরা সর্বজনীন দাতা হয়ে থাকেন।
পার্সোনালিটি কেমন?
আত্মবিশাসী, দৃঢ় চরিত্রের, চটজলদি অন্যের মন পড়ে নিতে পারেন এঁরা। এই সব ভাল গুণের সঙ্গেই এঁরা অনেক বেশি আত্মকেন্দ্রিক, শান্ত স্বভাবের হয়ে থাকেন। এঁদের মন সহজে বোঝা যায় না। কাজ প্রিয় মানুষ হয়ে থাকেন।
মুক্তযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/২৪-১২-২০১৫ইং/মইনুল হোসেন