স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতের টেকনিশিয়ানসহ বিভিন্ন পদে প্রায় ১০ বছর ধরে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আদালতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মামলা এর প্রধান কারণ। এতে করে স্বাস্থ্য সেবা খাতের সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব স্বাস্থ্য খাতে ২০ থেকে ৩০ হাজার জনবল নিয়োগ দেবে সরকার।
রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে সোসাইটি অব অটোল্যারিংগোলজিস্টস অ্যান্ড হেড-নেক সার্জনস্ অব বাংলাদেশের ১৭তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে স্বাস্থ্য খাতের বিরাট অর্জন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বছর ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কার অর্জন করেছেন। চলতি মাসের ৮ তারিখে সাড়ে চার হাজার চিকিৎসক যোগদান করবেন। আগামী বছর আরো সাড়ে ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। সম্প্রতি এক হাজার ৩০০ চিকিৎসককে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও গত মাসে প্রায় ৫ শত চিকিৎসককে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকদের জন্য সাড়ে চার শত গাড়ির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উপজেলাতে চিকিৎসকদের থাকার সুব্যবস্থাসহ তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার কার্যকরি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরো বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব (স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ) মো. আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, সোসাইটি অব অটোল্যারিংগোলজিস্টস এনইড হেড-নেক সার্জানস অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলনে চিকিৎসা সেবায় অসামান্য অবদান রাখার জন্য ১১ জন চিকিৎসককে সম্মাননা দেয়া হয়।